ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেট সিটির নতুন জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ে আগামীকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ মানুষ ভোট দেবেন। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বুধবার (২১ জুন) সকাল থেকে সিলেট সিটির মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এদিকে সিলেট সিটিতে ভোটের পরিস্থিতিতে নজর রাখতে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, সিলেটে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন লড়ছেন। এ সিটিতে ভোটার রয়েছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।

এদিকে সিটির সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএমে; ভোটার যাচাই ও ইভিএম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে বিশেষ পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

যেভাবে হবে ভোটার যাচাই :

নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর ভোটার নম্বরের ভিত্তিতে ভোটকক্ষ খুঁজে নিতে হবে ভোটারদের। লাইনে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত কক্ষে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে পৌঁছানোর পর যাচাই করা হবে ভোটারের পরিচয়।

কয়েকটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় শনাক্ত করেন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।

স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে :

দশ ডিজিটের স্মার্ট কার্ডের নম্বর
১৭ ডিজিটের লেমিনেটেড এনআইডির নম্বর
১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর
আঙুলের ছাপ

এর যে কোনো এক পদ্ধতিতে তালিকায় ভোটারের নাম শনাক্ত করার পর মেলানো হবে তার আঙুলের ছাপ। সঠিক হলে ভোটারের ছবি ও ভোট তথ্য সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সামনে একটি মনিটরে ভেসে উঠবে। প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ও ভোটার তা দেখতে পাবেন।

কন্ট্রোল ইউনিট থেকে আঙুলের ছাপ মিললে একজন পোলিং অফিসার ভোটার তালিকায় ভোটারের নামের পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখবেন। আরেকজন পোলিং অফিসার ভোটারের আঙুলে লাগিয়ে দেবেন অমোচনীয় কালি। এরপর সেই ভোটারকে ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

কোনো কারণে আঙুলের ছাপ না মিললেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বিধি মেনে মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশকে ভোটার হিসেবে শনাক্ত করে ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন।

এরপর ভোট : পরিচয় যাচাই শেষে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ওই ভোটারের জন্য ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন।

ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে গোপন কক্ষে রক্ষিত ইলেকট্রনিক ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে। এরপর ভোটারকে পাঠানো হবে গোপন কক্ষে।

গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোটার ব্যালট ইউনিটের স্ক্রিনে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক থাকবে। প্রত্যেক প্রতীকের পাশে থাকবে একটি করে সাদা বোতাম।

যাকে ভোট দিতে চাইবেন, মার্কা দেখে তার ডান দিকের সাদা বোতামে চাপ দিলেই তা সিলেক্ট হয়ে যাবে। এরপর ব্যালট ইউনিটের নিচে CONFIRM লেখা সবুজ বোতামে চাপ দিলেই ভোট দেওয়া হয়ে যাবে।

‘কনফার্ম’ বোতামে চাপ দেওয়ার আগে সর্বোচ্চ দুবার ভোটার পছন্দ বদলানোর সুযোগ পাবেন; তৃতীয়বারে যে সাদা বোতামে চাপ দেবেন, সেটাই তার পছন্দের মার্কা হিসেবে মেশিন গ্রহণ করবে।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, একই পদ্ধতিতে তিনটি পদের জন্য নির্ধারিত ব্যালট ইউনিটে ভোট দিতে হবে। যদি তিনি কোনো পদে ভোট দিতে না চান, তাহলে ওই ব্যালট ইউনিটের নিচে লাল রঙের ‘ক্যান্সেল’ বোতামে পরপর দুইবার চাপ দিতে হবে।

তিনটি ব্যালট ইউনিটে ভোটার তার সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই কেবল তার ভোট গৃহীত হবে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *