ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই মামলার চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগ হাকিম আতিকুল ইসলাম।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গত ১ ডিসেম্বর আদালত আবদুল মালেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে একই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর আদালত তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ৫ অক্টোবর প্রথম দফায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাট বিশিষ্ট সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় রয়েছে ১২ কাঠার প্লট। এ ছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অধিদপ্তরের কর্মচারী হলেও মালেক ছিলেন প্রভাবশালী। তিনি অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ, বদলি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার কথামতো কর্মকর্তারা কাজ না করায় তাদের নানাভাবে হয়রানি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মালেক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেও নিজে ব্যবহার করতেন পাজেরো গাড়ি। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যেসব চালকরা আছেন, তাদের তেল চুরির টাকার বেশিরভাগই মালেকের পকেটে যেত। রাতারাতি বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক বনে যান ওই গাড়িচালক। এসব টাকা দিয়ে মালেক ঢাকা শহরে একাধিক আলিশান বাড়ি, ফ্ল্যাট ও ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা জমান।

