ডায়ালসিলেট ডেস্ক::হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জোনারা আক্তার (১৯) খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার ভগ্নীপতি সোহাগ। হত্যার পর তিনি মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক তৈরি করেছিলেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধান ১৬৪ ধারায় আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সোহাগ মিয়া (৩০) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার যশের আব্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে।
প্রায় ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার শেখেরগাঁও জোয়ালিকুয়া গ্রামের আব্দুল ছাতিরের মেয়ে সিতারা আক্তারকে বিয়ে করেন সোহাগ। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন এবং তার স্ত্রী বিদেশে থাকেন।
স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিতারা বিদেশে থাকার সুযোগে সোহাগ ও তার শ্যালিকা জোনারার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। কিন্তু সোহাগের সঙ্গে সম্প্রতি তার আরেক শ্যালিকার মেয়ের অনৈতিক সম্পর্ক হয়েছে; এমন সন্দেহ করেন জোনারা। এনিয়ে তাদের দু’জনে মনোমালিন্য হয়।
এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’জনের ঝগড়া হলে জোনারা সোহাগকে দু’টি লাথি দেন। তখন সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়ে জোনারার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন এবং নিজেই গিয়ে কাফনের কাপড় কিনে আনেন। কিন্তু আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা দাফনে বাঁধা দেন।
পরদিন বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওইদিনই সোহাগকে গ্রেফতার এবং জোনারার পিতা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক ধাম জানান, শ্যালিকাকে হত্যার পর সোহাগ আত্মহত্যা হিসেবে এলাকায় প্রচার করতে থাকেন। তবে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফনের চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। যে কারণে খুনিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

