ডায়ালসিলেট ডেস্ক :চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দাফন শেষে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও নাগরিক কমিটির সদস্য সারজিস আলমের গাড়ি বহরে থাকা একটি প্রাইভেটকারে ধাক্কা দিয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক। এ ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বুধবার রাত পৌনে এগারোটায় শাহবাগ মোড় থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য আসেন। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।
ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে তারা প্রায় দশ মিনিট ধরে—‘আমরা কী চাই, আমরা কী চাই, আজাদী, আজাদী!, বাংলাদেশে, বাংলাদেশে, আজাদী, আজাদী!, ইনকিলাব, ইনকিলাব, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ!, মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ!, ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী!, আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাই চাই!’ স্লোগান দিতে থাকেন।দ্রুত সেখানে বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।
স্লোগান পরবর্তী সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, যাকে কেন্দ্র করে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, সেই চিন্ময়কে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। হিন্দুত্ববাদ থেকে এদেশের হিন্দুদের মুক্ত করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আজকে আমাদের ভাইদের যারা আক্রমণ করেছে, নির্যাতন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে, দিল্লির এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আপামর জনতাকে জেগে উঠার আহ্বান জানাচ্ছি। গত পনের বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে হিন্দু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘু গুম ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, আমরা এসবে জড়িত আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়, আমরা ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দেশে যারা সংখ্যালঘু আছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশ সংকটে পড়বে। আমরা বাংলাদেশে কোনও সংকট দেখতে চাই না। আমরা কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখতে চাই না। আমরা রক্তের বিনিময়ে যে মুক্তি লাভ করেছি, আমাদের এই মুক্তি ধরে রাখতে হবে

