আন্তর্জাতিক ডেস্ক::২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করল আর্মেনিয়া। দেশটির সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে প্রতিবেশি আজারবাইজান সীমান্তে গুলি চালিয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বরাতে তুরস্কভিত্তিক আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, বুধবারের শেষ মুহূর্তে আর্মেনিয়ার সেনারা বাসরকেচর এলাকার যুখারি শরজা গ্রামে অবস্থান নিয়ে অ্যাসাল্ট রাইফেল এবং গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করে আজারবাইজানের জেইলিক গ্রামে হামলা করে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আজারবাইজানের গ্রাম লক্ষ্য করে ১০-১২টি এফ-১ হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়ে আর্মেনিয়া। এরপর আজারবাইজানের সেনাবাহিনী হামলার জবাব দেয়।
এর আগে বুধবার আজারবাইজানের হামলায় আর্মেনিয়ার তিন সেনা নিহত হয়। আর্মেনিয়ার দাবি, আজেরি বাহিনী আকস্মিক তাদের সেনাদের ওপর হামলা চালায়।
একই দিন আজারবাইজানও পাল্টা অভিযোগ তোলে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে। বাকুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার কেলবাজার সীমান্তে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় আর্মেনীয় বাহিনী। এতে তাদের দুই সদস্য আহত হন।
নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে অনেক বছর ধরে বৈরী সম্পর্ক আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। পার্বত্য নাগোর্নো-কারাবাখ ১৯৯০ এর দশকে আজারবাইজানের অংশ ছিল। তবে অঞ্চলটিতে আর্মেনিয়ার নৃগোষ্ঠীরা বসবাস করে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এক যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সহায়তায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটি দখল করে নেয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সমর্থন এবং অত্যাধুনিক তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করে আজেরি সেনারা যুদ্ধে ব্যাপক সফলতা পায়। ৪৪ দিন যুদ্ধের পর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
ডায়ালসিলেট এম/

