ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::দুই বছর সময়ের মধ্যে অ্যামাজন, ফেসবুক, অ্যাপল এবং ই-বে’র প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা। এর মধ্য দিয়ে এসব ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য বা ব্যক্তিগত সব তথ্য চুরি করেছে তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফক্সনিউজ। সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থা নর্ড-লকার এ বিষয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উইন্ডোজ-ভিত্তিক কমপিউটার ব্যবহারকারীদের একাউন্টে প্রবেশ করে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এসব হ্যাকার ১.২ ট্যারাবাইট ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিয়েছে। এ জন্য তারা কমপিউটারে অনুপ্রবেশ করিয়েছিল ট্রোজান-টাইপের মেলওয়্যার। ফল হিসেবে তারা প্রায় ১০ লাখ ওয়েবসাইটের প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকারীর সব তথ্য চুরি করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইমেইল, ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!যেসব ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীকে টার্গেট করা হয়েছে তার মধ্যে বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট, ইবে, ফেসবুক, টুইটার, অ্যাপল, ড্রোপবক্স এবং লিঙ্কডইন। ডাটা বিষয়ক নীতি ভঙ্গের বিষয়ে নজরদারিকারী আরেকটি বিশেষজ্ঞ তৃতীয় কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে নর্ড-লকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে মেলওয়্যারের মাধ্যমে এই হ্যাকিং করা হয়েছে তা পাঠানো হয়েছে ইমেইল এবং ‘বেআইনি কিছু সফটওয়্যার’-এর মাধ্যমে। এর মধ্যে আছে অ্যাডোবি ফটোশ্যুট ২০১৮, উইন্ডোজ ক্র্যাকিং টুল এবং বেশ কিছু গেমসের ক্র্যাকড সিস্টেম। এসব ব্যবস্থা ব্যবহার করে মেলওয়্যার কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর স্ক্রিনশট নেয় এবং ব্যবহারকারীর ডিভাইসে যদি ওয়েবক্যাম থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে ছবিও নিয়ে নেয়। এভাবে কোন ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করা হয়। যেসব ডাটা চুরি করা হয়েছে তার মধ্যে আছে ২০০ কোটি কুকিজ এবং ৬৬ লাখ ফাইল, ১০ লাখ ছবি, ৬ লাখ ৫০ হাজার শব্দ ও পিডিএফ ফাইল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কুকিজ একজন ব্যক্তির অনলাইন একাউন্টে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে চুরি যাওয়া এসব ডাটাবেজের মধ্যে রয়েছে ৩০ লাখ টেক্সট ফাইল, ৯ লাখ ছবি এবং কমপক্ষে ৬ লাখ ওয়ার্ড ফাইল। নর্ড-লকার বলেছে, আরো উদ্বেগের বিষয় হলো, অনেক মানুষ তাদের পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত তথ্য নোট হিসেবে এবং অন্য স্পর্শকাতর তথ্য জমা রাখতে ব্যবহার করেন নোটপ্যাড। তাও আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয় আছে।

