ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বিএনপি যদিও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনঢ় অবস্থানে আছে। কিন্তু একই সাথে দলটি আগামী নির্বাচনকে মাথায় রেখে সংসদীয় আসনগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকারও খসড়া করে রাখতে চায়। যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রার্থী নিয়ে কোনো প্রকার বিভ্রান্তিতে পড়তে না হয়। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কৌশলগত কারণে বিএনপিকে প্রায় প্রতিটি আসনে এক বা একাধিক এমনকি ততোধিক প্রার্থীকে মনোনয়নের চিঠি দিতে হয়েছিল। মূলত তখনই কিছু বিষয় পরিষ্কার হয় বিএনপি হাই কমান্ডের কাছে। এর মধ্যে একটি ছিল, শুধু লবিং করে মনোনয়ন বাগিয়ে নেয়া কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিজ এলাকায় অবস্থান তৈরি করতে না পারা। নির্বাচনের সময়ে সরকার ও প্রশাসনের ভয়ে নিষ্ক্রিয় থাকা। ভুল তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়নের চিঠি বাগিয়ে নেয়া এবং নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে থাকা। মোদ্দা কথা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রার্থীর একেবারেই জনসম্পৃক্ততা না থাকা।
সবকিছু বিবেচনা করে এবার আসনভিত্তিক মনোনয়ন নিশ্চিত করার আগে আগ্রহীদের এলাকাভিত্তিক সক্ষমতা যাচাই করতে চায় বিএনপি। নিজ সংসদীয় আসনে আন্দোলন সংগ্রাম বেগবান করতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কি পরিমাণ ভূমিকা রাখতে পারছে সেটাও মনিটর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এক সূত্রে জানা গেছে।
গত ১৬ আগস্ট বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে চলতি মাসের ২২ তারিখ জেলা উপজেলা পর্যায়ে যে কর্মসূচি পালিত হবে সেখানে সংশ্লিষ্ট জেলার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সাবেক সংসদ সদস্যের অবশ্যই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেইসাথে কেন্দ্র থেকে এগুলো মনিটরিং করার সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি হাইকমান্ডের এমন সিদ্ধান্তে খুশি তৃণমূল বিএনপি এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তারা মনে করছে এমন সিদ্ধান্তে শুধু রাজধানীভিত্তিক দলীয় রাজনীতির দৌরাত্ম্য কমবে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাথে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়বে। নির্বাচনের কিছুদিন আগে কেন্দ্র থেকে চিঠি নিয়ে এসে ক্ষমতা জাহিরের অবসান ঘটবে।
আসনভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সক্রিয় হলে তৃণমূলে এর কেমন প্রভাব পড়তে পারে এ বিষয়ে জানতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন করতে চায় তাদেরকে আগে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে হবে। যে যেই নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন করতে আগ্রহী, সকলের জন্যই তো বিএনপির দুয়ার খোলা আছে। কিন্তু তাদেরকে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। আর অবশ্যই তৃণমূলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সন্দেহ নেই।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *