ডায়ালসিলেট ডেস্ক::বিশ্বের ৪০ টি দেশের হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রতারকরা করোনার ভুয়া ভ্যাকসিন সরবরাহ করার কথা বলে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে যেগুলোর আসলে কোনো অস্তিত্বই নেই।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এ ব্যাপারে ১৯৪ টি সদস্য রাষ্ট্রে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারপোল’ সতর্কতা জারি করেছে, যাতে বলা হয়েছে- প্রতারকরা ভ্যাকসিন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার ‘ভাব ধরেছে’। এক্ষেত্রে তারা ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছে।

দ্য ন্যাশনাল নিউজের এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়- কমপক্ষে ৬০ টি এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে ক্রেতারা তাদের দেশে অনুমোদিত ভ্যাকসিন কেনার জন্য ভুয়া প্রস্তাব পেয়েছিলেন। যদিও প্রকৃত ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মকর্তারা বিতরণ করেন এবং সেগুলো অনলাইনে বিক্রয় করা হয় না।

ইন্টারপোল জানিয়েছে, প্রতারকরা স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তাদের তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত ইমেইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এবং কখনো কখনো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টার্গেট করে।

তারা ঔষধ প্রস্তুতকারক বা সরকারী সংস্থার ছদ্মবেশ ধারণ করার চেষ্টা করেছিল এবং বিক্রয়ের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ করার কথা বলেছিল যা ক্রেতারা কখনোই পেতেন না।

এ নিয়ে ইন্টারপোলের প্রধান জুরগেন স্টক বলেছেন, “এমনকি যখন কোনো প্রতারণা ব্যর্থও হয়, তখনো তা পুলিশকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ যাতে সম্ভাব্য ‘লিঙ্ক’গুলো শণাক্ত করা যায়। চলমান মহামারীতে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের নিরাপদে এবং দ্রুত টিকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময়টাতে ভ্যাকসিন উৎপাদন থেকে সরবরাহ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি নিরাপদ থাকা জরুরি।”

ইন্টারপোল বলেছে, মহামারীর প্রত্যেক পর্যায়ে অপরাধীরা ভুয়া পণ্যের প্রস্তাব দিয়ে এবং সাইবার হামলার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ক্ষতি করেছে।

ইউরোপের পুলিশ গত সপ্তাহে ২৩ জনকে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে যারা বিভিন্ন কোম্পানিকে মাস্ক সহ অন্যান্য নকল পিপিই সামগ্রী বিক্রি করেছিল। অনুমান করা হচ্ছে, প্রতারকরা ইতিমধ্যেই রোমানিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১.২ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *