ডায়াল সিলেট ডেকস
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শাহজীবাজার তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হলো হবিগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ।
শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিকল যন্ত্রাংশ মেরামত কাজ হয় । কাজ শেষ হওয়ার পর জেলার নয় উপজেলায় পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (হপবিস) । তবে জেলা সদরের প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ পেতে অপেক্ষা করতে হয় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় শাহজীবাজার তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুইচিং উপকেন্দ্রে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে । দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে দুটি সার্কিট ব্রেকার ও তিনটি ট্রান্সফরমারে । রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও যন্ত্রাংশ মেরামতে সময় লেগে যায় দুই দিন।
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেল খান বলেন, ‘আগুনে বিপিডিবি ও গ্রীড সাবস্টেশনের দুটি ব্রেকার ও একটি ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। মেরামতে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।’
তিনি জানান, মেরামত শেষে সরবরাহ দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও হপবিস।
হপবিসের জেনারেল ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ৫ লাখ গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। গত দুই দিন সরবরাহ পেতাম মাত্র ২৫ মেগাওয়াট। শনিবার সন্ধ্যায় পুরো সরবরাহ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হই।’
তবে গ্রামে বিদ্যুৎ এলেও শহরে কেন দেরি হলো— এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিপিডিবির লাইনে সমস্যা ছিল। এজন্য শহরে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে দেরি হয়েছে।’
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাত সোয়া ৯টায় বিপিডিবির হবিগঞ্জ উপসহকারী প্রকৌশলী চয়ন কান্তি সেনকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, বিদ্যুতের অভাবে শনিবার দিনভর হবিগঞ্জ শহরে ব্যাটারিচালিতি ইজিবাইক ও অটোরিকশার আধিক্য অনেকটা কমেছে। একযোগে কয়েক হাজার জেনারেটর চলছে জেলা সদরে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

