সোহেল আহমদ :: সিলেটে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রকল্পের ৬ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প প্রদানকারীরা ভাগভাটোয়ারা করে নিয়েছেন সেই টাকাগুলো। বিনিময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান পেয়েছেন প্রায় আড়াই’শ কোটি টাকার কাজ। সেই প্রকল্পে সরকার দলীয় শীর্ষ কয়েকজন নেতা রয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

জানা যায়, সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যার আষ্টেপিষ্টে লেপ্টে আছে দূর্ণীতি। নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে শুরু করে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী সবাই ব্যস্ত অবৈধ পথে অর্থ অর্জনে। ঠিকাদার সিন্ডিকেটও আছে । তাও সর্বদলীয়। টেন্ডার বাণিজ্যে ভাগাভাগি, সমঝোতা ইত্যাদি নানা নামে চলছে লুটপাটের এই মিশন।

 

যখন যে সরকার-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের নেতা সেই দলের। বর্তমানে আওয়ামী দলীয় এক নেতা এই সিন্ডিকেটের প্রধান। সিন্ডিকেটে আছে বিএনপিসহ বহুদলীয় কারবার। এদের কাজ টেন্ডার নিয়ন্ত্রন। সমোঝতার নামে কাজ পাইয়ে দেয়া, ভাগাভাগি করে কাজ করা এবং বড় প্রকল্পের ঠিকাদারদের সাথে চুক্তির বিনিময়ে বড় অংক আদায় করা।

 

অনুরোপ ভাবে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক উন্নয়নে বরাদ্ধ করা প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার কাজ পান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান “মেসার্স জামিল ইকবাল লিঃ”। সেই প্রকল্পের টাকা ও ভাগ নিয়ে হয় নাটকিয়তা ও সমঝোতা। সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে সড়ক ভবন ঠিকাদার সিন্ডিকেট । তবে মেসার্স জামিল ইকবাল লিমিেটেডের প্রকল্পের অন্যতম দায়িত্বশীল কামরুল ইসলাম অস্বীকার করে বলেন, ঐ কাজ আমরা পাইনি। অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্টান পেয়েছে। এটা অপপ্রচার।

 

সেখানে ঠিকাদার সিন্ডিকেট, নির্বাহী প্রকৌশলী ছাড়াও ৬ কোটি টাকা লেনদেনের ভাগ পান সিলেটের সরকার দলীয় ৪ শীর্ষ নেতা। ঠিকাদার সিন্ডিকেটের প্রধান আওয়ামী লীগ নেতা এই সমঝোতা নাটকে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন বলে সুত্রে জানা গেছে ।

 

অভিযোগ আছে, সব বড় বড় প্রকল্পে ঠিকাদার সিন্ডিকেট সক্রিয় ভূমিকা পালন করে জিরো থেকে হিরো হওয়া এই ঠিকাদারদের এখন বিত্ত বৈভবের অভাব নেই । অনেক ঠিকাদারের সিলেটে এবং ঢাকায় রয়েছে একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট। দামি দামি গাড়িও দৌড়ান তারা। অনেকের আছে বিলাসী জীবনের বাগান বাড়িও। ঠিকাদারী লাইসেন্স তাদের কাছে আলাদীনের চেরাগ।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *