ডায়ালসিলেট ডেস্ক:জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আজ শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হচ্ছে।

বিদেশের ৯টিসহ দেশের ২ হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে একযোগে আজ এ পরীক্ষা শুরু হবে। এবার ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন ছাত্র ও ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন ছাত্রী।

প্রথমদিন জেএসসিতে বাংলা এবং জেডিসিতে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে।

গত দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকা মহানগরের বাইরের পরীক্ষা কেন্দ্র কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা পিএম পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি জানিয়েছেন, নকল ও প্রশ্নফাঁসমুক্ত হবে এ পরীক্ষা।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন নেয়া হচ্ছে এ পরীক্ষা। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিচ্ছে।

এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জেএসসিতে ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন ও জেডিসিতে ৪ লাখ ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

এর মধ্যে নিয়মিত ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬০ জন। অবশিষ্টরা অনিয়মিত। অনিয়মিতদের ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন জেএসসিতে এবং ৩০ হাজার ২৯১ জন জেডিসিতে। অনিয়মিতরা কেউ এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য। ফেল করা প্রার্থীও আছে। আছে মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী।

এ ছাড়া বিদেশি মোট ৯টি কেন্দ্রে ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।

পরীক্ষায় ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে জেএসসি শিক্ষার্থীদের। আর জেডিসিতে হবে ১০ বিষয়ে পরীক্ষা। ইংরেজি ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, আরবি, সংস্কৃত, পালি বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের অধীন আনা হয়েছে।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। যদি কেউ এ সময়ের পরে আসে তবে তার কারণ ও যাবতীয় তথ্য লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। সেই তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে। পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ নভেম্বর।

কথিত প্রশ্নের পেছনে না ছুটে সন্তানকে লেখাপড়ায় নিবিষ্ট রাখার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, প্রশ্নফাঁস হয় না। গুজব ছড়িয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অসাধুরা বাবা-মা ও পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার পরিস্থিতি তৈরি করে।

তাই অভিভাবকদের বলব, সন্তানকে অনৈতিকতার পথে নেবেন না। তাদেরকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলুন। সুসন্তান দেশ ও আপনার ভবিষ্যৎ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *