ডায়ালসিলেট ডেস্ক:চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে কলেজছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার সহযোগীরা এখনও অধরা। ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রী হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের। এদিকে, আসামিদের প্রভাবশালী স্বজনরা ওই ধর্ষিতার পরিবারকে আপোষের মাধ্যমে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি-ধমকি ও চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকির ভয়ে ওই ধর্ষিতা ও তার পরিবার অনেকটা আতংকের মধ্যে জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার ভোরে হবিগঞ্জ শহর থেকে মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমেদ মামুনকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের মকসুদ আলীর ছেলে। মামলার অন্য আসামিরা হলো- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতির থান গ্রামের মৃত রমিজ আলীর ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আক্কাছ আলী (২০), নবীগঞ্জ উপজেলার কায়স্থ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (২৪), বানিয়াচং উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে ফজলুর রহমান (২৪), ও চুনারুঘাট উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুনেদ লতিফ (২৭)। মামলায় উল্লেখ করা হয়, শামীম আহমেদ মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শহরের রাজনগরের বাসিন্দা ও বৃন্দাবন সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর। গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রেমিকের সঙ্গে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে যায় ওই কলেজছাত্রী। এ সময় সেখানে অবস্থানরত মামুনের কয়েকজন বন্ধু (মামলার আসামিরা) ছাত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে গহীন অরণ্যে নিয়ে প্রেমিক শামীমের সহযোগিতায় গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরের দিন বুধবার দুপুরে নির্যাতিতা ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামুনসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করে চুনারুঘাট থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের দাবি আসামি ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *