স্পোর্টস ডেস্ক:২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উন্নীত হওয়ার পর থেকেই এই স্টেডিয়ামটি পরিচিতি পায় দেশের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়াম হিসেবে। চারপাশে সবুজ চা বাগান আর উঁচু-নিচু টিলার মাঝখানে স্টেডিয়াম। মাঠের মধ্যে আবার গ্রিন গ্যালারি- এসবই এই স্টেডিয়ামকে অনন্যতা প্রদান করে। দেশি বিদেশি ক্রিকেটার আর কর্মকর্তারাও এই স্টেডিয়ামটির সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন। তবে অর্ধ যুগ পেরোতে না পেরোতেই স্টেডিয়ামটি তার শ্রী হারাতে শুরু করেছে। প্রশ্ন ওঠেছে স্টেডিয়ামটির ব্যবস্থাপনা নিয়েও। সিলেট স্টেডিয়ামের সবচেয়ে সুন্দর অংশ গ্রিন গ্যালারির ঘাস তুলে ফেলে ধূসর করা হয়েছেে। মাটি কেটে তৈরি করা হয়েছে সিঁড়ি। টিলার উচ্চতা কমিয়ে তিনটি ধাপের মতো করা হয়েছে; ঘাস না থাকা গ্রিন গ্যালারির নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্রিন হিল এরিয়া’। তবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জয়দ্বীপ দাস সুজক বলেন, আমরা এবার ঘাস লাগিয়েছি। ঘাস উঠতে একটু সময় লাগবে। আর টিলাটি কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। কেটে ‘র’ লাইন করা হয়েছে। অচিরেই এর সৌন্দর্য ফিরে আসবে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম হিসেবে নির্মিত হলেও পরে তা ক্রিকেটের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের সময় থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিতি পায়। সেই বছর টি২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের কয়েকটি ম্যাচ দিয়ে এই স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। এরপর মাঠের ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নত করা হলেও গ্রিন গ্যালারি কাঙ্ক্ষিত সৌন্দর্য পায়নি। এদিকে ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ভেন্যুর মর্যাদা পাওয়া সিলেট। এখানে বিপিএল ছাড়াও ঘরোয়া বিভিন্ন বয়সভিত্তিক, একাডেমী ও ‘এ’ দলের খেলাও নিয়মিত হচ্ছে। সম্প্রতি আউটার স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজও চলছে পুরোদমে; যাকে গ্রাউন্ড-২ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এমন উন্নয়নের মধ্যে মূল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দৈন্যদশার সৃষ্টি হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *