প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সিলেট নগরীর সিলেট নগরীর খাসদবীর বন্ধন এফ ১০ নং এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ মা নেওয়া বেগমের (৬৫) ছেলে নয়ন আহমেদ কে অন্যায়ভাবে পুলিশ কর্তৃক হয়রানি না করতে সিলেট পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে ।
গত ২৩শে জুন মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে কমিশনার বরাবর একটি লিখিত আবেদন দেওয়া হয়।
উক্ত লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, নেওয়া বেগমের স্বামী গত দুই বছর আগে মারা গেছেন। পিতৃহীন সন্তানাদি নিয়ে তিনি খুবই কষ্টের জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। গত ২২ মে হঠাৎ ভোর বেলা এস আই এনায়েত এবং শামসুল সহ ১৫/১৬ জন পুলিশ সদস্য তাদের বাসায় ঢুকে হন্য হয়ে তার ছেলে নয়নকে খুজতে থাকেন।
পরে তিনি জিজ্ঞাসা করলে এস আই শামসুল বলেন, ২৫ মার্চ উপশহরের একটি মামলা নং ১৫ এবং ২৬ মার্চ জি আর মামলা নং ৪৮/২০২০ইং মামলার জন্য তার ছেলেকে খোজাখুজি করছেন।
নেওয়া বেগম পুলিশকে মামলার কাগজ বা সার্চ ওয়ারেন্ট এর কপি দেখাতে বলতে , তারা কোনটাই দেখাতে পারেন নি। কোন কিছু না পেয়ে তার ছেলে নয়নের ব্যবহৃত একটি মাথার ক্যাপ যেখানে নাইক ব্রান্ডের সিল মারা সেই ক্যাপটি নিয়ে যান।
পরবর্তীতে নেওয়া বেগম জানতে পারেন যে, প্রায় আড়াই মাস পূর্বে উপশহর এলাকায় ডাকাতির একটি ঘটনা ঘটে, এই ঘটনার সাথে জড়িত চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। যেখানে তার ছেলে নয়নের নাম নেই। কিন্তু ঐ মামলায় বর্তমানে ৩জন আসামী কারাগারে রয়েছেন এবং অপরজন রাফি নামে আরো ১জন আসামি বাহিরে রয়েছেন।
পরে নেওয়া বেগম এস আই এনায়েত এর সাথে যোগাযোগ করে তার ছেলেকে খোজাখুজি করার কারণ জানতে চাইলে এস আই এনায়েত বলেন ২নং আসামি শাহীনের মোবাইল এ কল লিষ্টে নয়নের নাম্বার পাওয়া যায়, সেজন্য তিনি তার খোজ করছেন বলে জানান তিনি।
নেওয়া বেগম লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করে বলেন, অনেক দিন আগে শাহীন এর কিছু অবৈধ কাজের জন্য খাসদবীর এলাকায় নেওয়া বেগমের ছেলে থাকে বাধা প্রদান করলে এর জের ধরে শাহীন নেওয়া বেগমের ছেলে নয়ন এর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এবং ছেলে নয়নের নামে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করে।
এবিষয়ে এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সালিশি বিচারের মাধ্যমে শাহীন তার ভূল স্বীকার করলে নয়নের উপর সেই মামলা আপোষ করে। এর কিছুদিন পরই নয়নের আপন শালিকাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে।
গত ২৫শে মার্চ শাহীন তার স্ত্রীকে মারপিট করে এবং থাকে বাড়িতে চলে যেতে বললে। পরে শাহিনের স্ত্রী নয়নকে এসে বিষয়টি জানায়। নয়ন এর সত্যতা যাচাই করতে শাহীনকে ফোন দিলে সে ব্যস্ত আছে পরে কথা বলবে বলে ফোন কেটে দেয়। যা ফোন কলের লোকেশন মাধমে আপনারা জানতে পারবেন।
নেওয়া বেগম তার নিরীহ ছেলে নয়নকে অকারণে হয়রানি না করতে তিনি পুলিশ কমিশনার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন। তাই নেওয়া বেগম পুলিশ কমিশনারের নিকট সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech