প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্ক:: জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাজেট প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এই বাজেট গরিব মারার বাজেট। এতে স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তড়িঘড়ি করে এই বাজেট পাস করা হয়েছে। এই বাজেট আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
আজ (বৃহস্পতিবার) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাজেট নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। এর আগে বুধবার বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদের সামনে বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, গ্রামীণ অর্থনীতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবন-জীবিকা রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে এ দেশের জনগণের মাঝে সীমাহীন হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতাহীন একটি একদলীয় সরকারের আচরণে কাল্পনিক সাফল্যের দিবাস্বপ্ন দেখানোর অপপ্রয়াসই স্বাভাবিক।
গত মঙ্গলবার বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়। পর দিন থেকে এটি কার্যকর করা হয়। সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর দীর্ঘ আলোচনার ইতিহাস থাকলেও এবার আলোচনা হয়েছে মাত্র দুদিন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এবারের বাজেট করোনার সময়ে বীভৎস স্বাস্থ্য সংকটে পড়া মানুষের নাভিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেয়ার বাজেট। এই বাজেট করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া কোটি কোটি অনাহারী মানুষকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ঠেলে দেয়ার বাজেট। এই বাজেট কৃষিকে ধ্বংস করে দেশের খাদ্যনিরাপত্তাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলার বাজেট। এই বাজেট দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার না করে আরও গভীর মন্দায় ফেলে দেয়ার বাজেট। এই বাজেট দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে ফেলার বাজেট।
গত ১১ জুন সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশের পর পুরো অধিবেশনজুড়ে এর ওপর আলোচনা করে থাকেন সংসদ সদস্যরা। তবে এবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা হয়েছে খুব সীমিত আকারে, যা দেশের সংসদীয় ইতিহাসে রেকর্ড।
করোনাভাইরাস সংকটে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় খুব বেশি না বাড়িয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৬.২৭ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, যা নিয়মানুযায়ী আগেই অনুমোদন করা হয়েছে।
এবার পরিচালন ব্যয় (ঋণ, অগ্রিম ও দেনা পরিশোধ, খাদ্য হিসাব ও কাঠামোগত সমন্বয় বাদে) ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশ।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech