কানাইঘাটে জামায়াত নেতার কাছে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার হুমকীর মুখে

প্রকাশিত: ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২০

কানাইঘাটে জামায়াত নেতার কাছে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার হুমকীর মুখে

ডায়ালসিলেট ডেস্ক::সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলা অধীনস্থ,৩নং দিঘীরপাড় ইউনিয়নের দর্পনগর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মৃত ইকবাল হোসেন বাদল,প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ও বাহারের পরিবার স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খসরুজ্জামান খসরু গং দ্বয়ের অত্যাচারে দিশেহারা।দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে থাকার কারণে তাদের পরিবার পুরুষ শূন্য এবং তাদের বৃদ্ধা মাতা দীর্ঘদিন থেকে বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছেন।তাদের মাকে দেখাশোনা করার জন্য বাহার ও বাবুলের বোন ছোটদেশ নিবাসী আঃ মান্নানের স্ত্রী খালেদা বেগম ও তার পুত্র তুহিন দেখাশুনা করে আসছেন। বাহারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই মেয়ে ও মা, বোন ও বোনের সন্তান সহ মোট ৬ জন সদস্য এই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ৩ নং দিঘীর পাড় ইউনিয়ন এর ২ নং ওয়ার্ডের জামাতের সাধারণ সম্পাদক বিগত সরকার বিরোধী বিভিন্ন নাশকতার মামলায় অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামী।ভুমি দস্যু ও প্রভাবশালী জামায়াতের এই নেতা খছরুজ্জামান খসরু দীর্ঘ দিন থেকে তাদের কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকী দিয়ে আসছে। সেই সাথে তাদের বসত বাড়ির জোর পূর্বক ভাবে টয়লেটের টেংকি সহ কিছু জায়গা দখল করে,ভোগ ব্যবহার করে আসছে।এছাড়াও কৃষি জমি খসরু তাহার সহযোগী এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জোর পূর্বক দখল করে ভোগ করে আসছে। বিগত কয়েক মাস পূর্বে খসরুজ্জামান খসরু মেম্বার কে বাড়ির সীমানা ও ট্যাংকির জায়গা জোরপূর্বক ভোগ বাহারের কারন জিজ্ঞাসা করিলে ভাগনা এহসানে এলাহী তুহিন সহ ভুক্তভোগী পরিবারের সবাইকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।এক পর্যায় তুহিন কে সামনে পাওয়ায় খসরু তাহার ছেলেদের সহযোগিতায় ধরিয়া তাহার বাড়ির সীমানায় নিয়া লোহার রড দিয়া পিঠাইতে শুরু করেন। কান্নাকাটি শুনে মা ছুটে আসেন, ছেলেকে বাঁচাতে। তখন তুহিন এর মায়ের মাথায় রট দিয়ে আঘাত করে, মাথায় বিভিন্ন জায়গা ফেটে যায় একপর্যায়ে চিৎকার শুনে অন্যান্য লোকজন আসার পর তাকে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পাঠানো হয়। অবস্থা অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিৎকার স্বার্থে রেফার করা হয় সিলেট সিওমেক হাসপাতালে।ভুক্তভোগীরা সামান্য সুস্থ হইয়া বিগত ১৪/০১/২০২০ ইং তারিখে কানাইঘাট থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করিলে কানাইঘাট থানা পুলিশ তদন্ত করিয়া ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় নিয়মিত মামলা রুজু করেন।দীর্ঘদিন থেকে প্রভাবশালী এই জামায়াত নেতা আত্নগোপনে থাকার পর বিগত ১৮/০৮/২০২০ ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হইয়া জামিনের প্রার্থনা করিলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করতঃকারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।বর্তমানে খছরুজ্জামান খসরু মেম্বার জেলে থাকলেও তার পরিবারের লোকজনরা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারকে হুমকি দামকী দিয়ে আসছে।এজন্য বর্তমানে এই ভুক্তভোগী পরিবারটি ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বাহার উদ্দিনের পরিবার অপরাধীর কঠোর শাস্তি নিশ্চিত ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ