ডাযালসিলেট;:
এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গৃহবধূকে ধর্ষণে জড়িত থাকার দোষ স্বীকার করেছেন মামলার অন্যতম আসামি রাজন, আইনুদ্দিন ও মাহবুবুর রহমান রনি।
শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।
শনিবার আসামি রাজন আহমদ সিএমএম- ১ এর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুল ইসলামের আদালতে এবং অপর দুই আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও আইনুদ্দিন সিএমএম আদালত-২’র বিচারক সাইফুর রহমান ও সিএমএম আদালত-৩’র বিচারক শারমিন খানম নিলার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরের দিকে তাদেরকে আদালতে নিয়ে আসে শাহপরান থানা পুলিশ।এসময় ১৬৪ ধারায় তাদের ৩ জনই ধর্ষণের ঘটনায় তারা নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এর আগে শুক্রবার এই মামলার আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন ও রবিউল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতের কাছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যারাতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এজাহারনামীয় সব আসামিসহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার আটজনের প্রত্যেককেই ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মামলার আসামিরা হচ্ছে- সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন আহমদ, তারেক আহমদ, আইনুদ্দিন ও মাহফুজুর রহমান মাছুম।