ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

করোনা মহামারির মধ্যে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আওয়ামী লীগের ৫২২ জন নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (০৩ অক্টোবর) গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ কথা তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “করোনা মহামারির সময়ে মাঠে থাকার কারণে আমাদের প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। এই যে এত বড় সাক্রিফাইস (ত্যাগ) বোধ হয় আর কোনো দল করেনি। ”

তিনি বলেন, “আমরা মানুষের পাশে আছি, মানুষের পাশে থাকব। আমি দেশবাসীকে এইটুকু বলতে চাই, জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে এবং সেটা আবারও এই দুর্যোগ করোনা মহামারির সময়ও প্রমাণ হয়েছে। জনগণের আস্থা বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল, সেটাই আমাদের শক্তি। ”

আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “পার্টির কাজগুলিও মোটামুটি কিছু কিছু জায়গায় সচল রয়েছে। এখন খুব বেশি যাতায়াত না করলেও কিছু সাংগঠনিক কার্যক্রম আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। ”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের যে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি আছে, এই করোনা মোকাবিলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে তখনি সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ”

আওয়ামী লীগের সমালোচনার করার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখার অনুরোধ জানিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “কেউ কেউ আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে। কিন্তু তাদের মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে— আওয়ামী লীগ কতটুকু করলো, কতটুকু করলো না। কিন্তু তারা আয়নাতে নিজের চেহারা দেখে না। ”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দেশে গরিব মানুষের সেবা করার অনেক লোক, অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান, অনেক কার্যক্রম আমরা দেখি। কিন্তু করোনাকালে তো তাদের কোনো কার্যক্রম আমরা দেখিনি। সবাই ঘরে, তখন মানুষের পাশে আর কেউ নেই। মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে। কারণ, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য সব থেকে বেশি কাজ করে। ”

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “মুজিববর্ষে আমাদের ঘোষণা— প্রত্যেকটা গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ব্যাপকভাবে চলছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা এক কোটি গাছ লাগাব। কিন্তু আমাদের কৃষকলীগ, আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠন মিলে এক কোটির থেকে বেশি গাছ ইতোমধ্যেই রোপণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও আমরা একই কর্মসূচি নিয়েছি। ”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৃক্ষরোপণ, সুবজ বেষ্টনী, প্রকৃতি রক্ষা করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই সার্বিকভাবে একদিকে দুর্যোগ, রোগ মোকাবিলা করা আরেকদিকে দেশটাকে সচল রাখা সব রকমের কাজই আমরা করে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের প্রাণপণে। ”

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *