এমরান ফয়সল::

সিলেটে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। বেশ ক’দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত সিলেটে অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত ।দিনে গরমের প্রভাব থাকলে ও গভীর রাত এবং ভোরের দিকে শীতের মাত্রা বাড়তে থাকে।আবার সেই সাথে দেখা দিয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগব্যধিও।এই শীতে বেশিরভাগ মানুষের জ্বর,স্বর্দি মারাত্বকভাবে দেখা দিয়েছে। কার্তিক মাস গিয়ে এখন অগ্রহায়ণ মাস। বিকেল হলেই যেন ঘন কুয়াশায় সন্ধ্যার ঘন্টা বাজতে শুরু করে। কার্তিকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া না গেলেও অগ্রহায়ণের শুরু থেকে হালকা শীত পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর হালকা কখনো ভারী বাতাস বইতে শুরু করে। শীত মৌসুমের প্রস্তুতি হিসেবে সিলেটের বিপনী বিতানগুলোতে গরম কাপড় বিক্রির ব্যস্ততা দেখা গেছে। শুধু বিপনীবিতান নয়, জমে উঠেছে ফুটপাতের বেচাকেনা।অভিজাত বিপনীবিতান আর দোকানগুলোতে বিভিন্ন দামে মিলছে শীতের নতুন ফ্যাশনের কাপড়। রুচিসম্মত কাপড় কেনাকাটায় সেখানেও সন্ধ্যার পর মানুষের যাওয়া আসা লক্ষণীয়। ফুটপাতে২০- ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপড়। সেখানে মিলছে ছোট-বড় সকলের শীতের কাপড়। নিম্নআয়ের মানুষরা সেখানেই ভীড় জমাচ্ছেন বেশি। সেটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে অগ্রহায়ণের শুরু থেকে। রাত বাড়ার সাথে বাড়তে থাকে শীতের পরিমাণও ভোরের দিকে শহরের সর্বত্র হালকা কুয়াশা পড়তেও দেখা যায়। গাছগাছালি, সবুজ ঘাস ভিজে যায় শিশিরের কুয়াশার জলে।। এদিকে আবার শীত আসার সাথে সাথে কিছুদিন ধরে দেখা যায় সিলেট নগরীর ব্যস্ততম সড়কে, ফুটপাতের চার পাশে শীতের নানান রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে বসছেন দোকানিরা।ডিম সিদ্ধ, ভাঁপা, চিতই, তেলের পিঠা বিক্রি হচ্ছে । তবে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে এখন অনেকটা বেশী শীত বইতে শুরু করেছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, আগামী ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। তবে এবার শীতের তীব্রতা কেমন হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।আমাদের দেশে বেশির ভাগ ডিসেম্বর মাসে শীত বেশি পরতে থাকে, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের আমেজ থাকে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *