বিদ্যুতহীন সিলেট নগর, পানির সংকট

প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২০

বিদ্যুতহীন সিলেট নগর, পানির সংকট

ডায়ালসিলেট::

সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ১৩২/২২ গ্রিড উপকেন্দ্রে আগুন লাগায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই সিলেটের বেশিরভাগ এলাকায়। নগরীতে দেখা দিয়েছে পানির সংকট। অনেকের মোবাইল ফোনের চার্জ ফুরিয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে পড়ায় রেফ্রিজারেটরে নস্ট হচ্ছে পচনশীল খাদ্য সামগ্রীও। নেটওয়ার্ক না থাকায় মোবাইলন ফোন যোগাযোগও বিঘ্ন ঘটছে, গতি কমেছে ইন্টারনেটেরও।

বিদ্যুতহীন থাকার মঙ্গলবার বেলা পড়ার সাথে সাথে শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। আর সড়ক বাতি বন্ধ থাকায় রাতে পুরো নগরে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। বুধবার সকাল ১০টায়ও নগরের বিদ্যুত সরবরাহ সচল হয়নি। পানি সংগ্রহ করতে জনসাধারণ ছুটছেন দূর-দূরান্তে নলকূপের খোঁজে। আবার অনেকেই ভীড় করছেন দোকানে দোকানেও।

নগরের নবাব রোড এলাকার বাসিন্দা ধ্রুব গৌতম বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকে বিদ্যুত নেই। তার বাসার পানি শেষ হয়েছে সন্ধ্যায়। দীর্ঘ সময় ধরে রেফ্রিজারেটরও বন্ধ রয়েছে; ফলে নষ্ট হচ্ছে মাছ, মাংসসহ পচনশীল দ্রব্যসামগ্রী। এছাড়া রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে তাদের ঘরে কোন আলো জ্বলছে না বলেও জানান তিনি।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগের সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোকাম্মেল হোসেন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে আগুনে জাতীয় গ্রিড লাইনের দুটি ট্রান্সমিটার পুড়ে যাওয়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।’

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘পানি বিতরণ ব্যবস্থা পুরোটাই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি পুরো শহরে এ রকম বিপর্যয় দেখা যায়নি। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে পানির সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে একটি পাওয়ার ট্রান্সফরমার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক চালু করা সম্ভব হতে পারে। আর অন্য একটি ট্রান্সফরমার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছে। সিলেটের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে সে ট্রাকটি রওয়ানাও হয়ে গেছে। সেটি এসে পৌঁছলে তা স্থাপন করতে দু-একদিন সময় লাগবে। এরপরই পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাওয়ে অবস্থিত জাতীয় গ্রিড লাইনের দুটি ট্রান্সমিটারে আগুন লেগে যায়। ফায়ার ব্রিগেডের ৫ টি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিডেট (পিজিসিবি)।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ