ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ মুখে ছোট্ট হাসি। গায়ে কালো গেঞ্জি। চুল উস্কোখুস্কো। হাত আর বুক থেকে ঝরছে ঘাম। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের সঙ্গে বাইকের গর্জন। ‘সেক্স অ্যাপিলে’র নতুন সংজ্ঞা তৈরি হল ‘ধুম ২’ মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। দর্শকদের উপর তীব্র ভাবে প্রভাব ফেললেন হৃতিক রোশন। ছবির নাম বলতে রাকেশ-পুত্রের ওই আকর্ষণীয় চেহারাটাই চোখে ভাসে এখনও। মঙ্গলবার ১৪ বছরে পা দিল সেই ছবি। এ উপলক্ষে ‘মিস্টার এ’ নিজের চরিত্র নিয়ে লিখলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়!

২০০৬ সালে বলিউডের ধূ ধূ মরু‌ভূমিতে প্রকট হয়েছিলেন হৃতিক রোশন। এত সেক্সি চোর এর আগে দেখেনি দেশ। ‘ধুম ২’ ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে একটি লম্বা পোস্ট লিখে ফেললেন আরিয়ান ওরফে হৃতিক। এমনিতেই এর আগে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবিতে তার ‘এক পল কা জিনা’ দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল দর্শকদের। মনে হয়েছিল, সেক্স অ্যাপিল নিয়ে হৃতিক রোশন বড় বড় অভিনেতাদের ক্লাস নিতে পারবেন।

কিন্তু গল্প তো অন্য!

জানা গেল, ‘ধুম ২’ ছবিটির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে নিজেকে সম্পূর্ণ বদলাতে হয়েছিল তাকে। চরিত্রটিকে বুঝতে, এমনকি প্রতিদিন প্রাণায়ামও করতেন। শুধু ‘হ্যান্ডসাম হাংক মিস্টার এ’ না। সুন্দরী, বৃদ্ধা রানি থেকে নিথর মূর্তি, সবেতেই তার জৌলুস যেন ফুটে উঠেছে।

কী ভাবে ঘটল এই ম্যাজিক? সেই গোপন তথ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাস করলেন হৃতিক রোশন। সঙ্গে দিলেন তার ছবির তিনটি কোলাজ। তার কাছে একটি রেসিপি ছিল মাত্র। ব্রুস উইলিস, পিয়ার্স ব্রসনন ও অমিতাভ বচ্চন।

অভিনেতা তার পোস্টে লিখছেন, ‘তাদের ব্যক্তিত্বগুলি নিয়ে একসঙ্গে করে যেটা পেলাম সেটা থেকেই তৈরি হলো আরিয়ান। এর আগে ভেবে ভেবে কোনও কুল কিনারা করতে পাচ্ছিলাম না।’

রোশন তার স্টাইলিস্টের কথা বলতেও ভোলেননি, ‘অনৈতা না থাকলে সম্ভব হতো কি না কে জানে।’ শেষে তিনি লিখলেন, ‘আমার এখন মনে হয়, কোথাও গিয়ে আরিয়ান চরিত্রটির কিছুটা চিরকাল আমার ভেতরেই থেকে যাবে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *