প্রকাশিত: ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
লণ্ডনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ভেতরে রাখার জন্য করোনা প্রতিরোধে বহুমুখি উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
স্বাস্থ্য সচিব লন্ডন, কেন্ট এবং এসেক্সের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলোতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য গণভাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন। এই অঞ্চলে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মিঃ হ্যানকক বলেছেন, স্কুল-বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার জন্য আমাদের এখনই সবকিছু করা দরকার। শুক্রবার এ ব্যাপারে বিশদ বিবরণী প্রদান করা হবে বলে ঘোষনা করেছেন। এছাড়া করোনা ভাইরাস তথা কোভিড -১৯ উত্থানের পর এই সপ্তাহে লন্ডনবাসীদের “নিয়ম মেনে চলার” বিশেষ অনুরোধ করার পরে ২য় স্তরের (টায়ার-টু) জায়গায় ৩য় স্তরের (টায়ার-ত্রি) কঠিন বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মিঃ হ্যানকক বলছিলেন, লন্ডন সহ কেন্ট এবং এসেক্সে করোনভাইরাস নিয়ে সরকার বিশেষত উদ্বিগ্ন। যেখানে করোনা সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান এবং হঠাৎ ‘উচ্চতর‘ রূপ ধারণ করেছে।
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, ১৬ ডিসেম্বর সরকারের করোনা ভাইরাসের পরবর্তী পর্যালোচনা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। অবিলম্বে এই অঞ্চলের জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা হবে। কারণ অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, তরুণদের মধ্যে ভাইরাস তীব্রভাবে বৃদ্ধির ফলে পর্যায়ক্রমে আরও দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী বয়সীদের মধ্যে করোনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
গণ পরীক্ষার পরিকল্পনাটি লন্ডনের সাতটি সবচেয়ে খারাপ-প্রভাবিত বারাগুলিতে এবং কেন্টের কিছু অংশ ও সীমান্তযুক্ত এসেক্সের কিছু অংশে প্রয়োগ হবে। মিঃ হ্যানকক বলেন, আমরা মোবাইল পরীক্ষামূলক ইউনিটগুলো বাড়িয়ে চলেছি, যা শিশুদের জন্য কাজে লাগবে। পিসিআর (একটি স্ট্যান্ডার্ড করোনাভাইরাস পরীক্ষা)-এ মাত্র আধ ঘন্টা সময়ে ফলাফল জানা যায়। অতএব শিশুদের পরিবারকে করোনা পরীক্ষা গ্রহণে উৎসাহ প্রদানের জন্য তিনি স্কুল এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় সরকার তিন স্তরের যে বিধিনিষেধ ব্যবস্থা ঘোষনা করেছিলো, তার সর্বোচ্চ স্তর টায়ার-থ্রি’র আওতায় চলে আসার উপক্রম হয়েছে লন্ডন ও পার্শবর্তী অঞ্চল। মূলত বিধিনিষেধ প্রকারভেদে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলকে মাঝারি, উচ্চ বা অতি উচ্চ সতর্কতার স্তরে বিভক্ত করা হচ্ছে। টায়ার-ওয়ান থেকে টায়ার-ত্রি। টায়ার থ্রি’র আওতায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। বাইরের কারো সাথে ঘরের ভেতরে কিংবা বাইরে কোথাও দেখা সাক্ষাত করা যাবেনা। পাব, রেস্টুরেন্ট, বার, ক্যাফে ইত্যাদি অবশ্য বন্ধ রাখতে হবে। যাদের পক্ষে সম্ভব, তাদেরকে বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে লন্ডন মেয়র সাদিক খান সতর্কবার্তা প্রদান করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হবার পূর্বে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন ও জনগনকে সচেতন থাকার জন্য তিনি আহবান জানিয়েছেন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech