ডায়ালসিলেট:: সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলাচলকারী ফাহাদ এন্ড মাইশা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই গাড়ির চালক ও হেলপাররা।

এ সময় দিরাই পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই কলেজ ছাত্রী সম্ভ্রম বাঁচাতে দিশেহারা হয়ে গাড়ি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে।

শনিবার দুপুরে দিরাই মদনপুর সড়কের সুজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কলেজ ছাত্রীকে রাস্তার পাশে পরে থাকতে দেখে সুজানগর গ্রামের দুই যুবক উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত ওই কলেজ ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংবাদ পেয়ে মেয়েটির স্বজন ও থানা পুলিশ হাসপাতালে আসে। দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চালক হেলপার। পুলিশ বাসটি আটক করেছে।

এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে সন্ধ্যায় দিরাই থানা পয়েন্টে অবরোধ করে শতশত জনতা। তারা বিচার চাই বিচার চাই শ্লোগান দেয়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।

মেয়েটির চাচা বলেন, আমার ভাতিজি দিরাই সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। সিলেটের লামাকাজি এলাকায় তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিল। আজ তার বোন জামাই অজিত দাস সিলেট – জ- ১১- ০৭২৩ সিরিয়ালের লোকাল বাসে তুলে দেয় দিরাইয়ে ফেরার জন্য। সে একা ফিরছিল। পথিমধ্যে গাড়ির যাত্রীরা একে একে নেমে গেলে গাড়িটি একপর্যায়ে ফাঁকা হয়ে যায়। লোকাল বাস হলেও নতুন যাত্রী উঠানো থেকে বিরত থেকে গাড়ির স্টাফরা। চালক হেলপার মিলে আমার ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

উপায়ন্তর না পেয়ে সে সুজানগর এলাকায় গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নিচে পরে আহত হয়। দিরাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিদ্যুৎ দাস বলেন, মেয়েটির মাথায় হাতে জখম ছিল। তাকে সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দিরাই থানা ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি রেখে চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। গাড়িটি আটক করা হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *