স্পোর্টস ডেস্ক ::

ডানেডিনে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ক্রাইস্টচার্চে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে তামিম ইকবালের দল পেয়েছে লড়াকু পুঁজি। ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক। মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা তুলেছে ২৭১ রান। মিঠুন ৫৭ বল খেলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও দুই ছক্কা।

হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নামা তামিম ফিফটি পেরিয়ে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন। ৭৮ করার পর রানআউটের শিকার হন টাইগার ওপেনার।

অবশ্য ফিফটির মাধ্যমে তামিম নাম লিখিয়েছেন অসাধারণ এক মাইলফলকে। ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৫০তম ফিফটির দেখা। আজও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ দলের। ম্যাট হেনরির বলে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন লিটন দাস। তিনে নামা সৌম্য সরকার শুরুতে ধুঁকলেও তামিমের সঙ্গে জুটি জমিয়েছিলেন দারুণ।

দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটিই পথ দেখায় বাংলাদেশকে। ৩২ রান করে সৌম্য উইকেট বিলিয়ে আসেন। বাঁহাতি স্পিনার মিশেল স্যান্টনারের বলে স্টাম্পড হলে ভাঙে জুটি।

তামিম যখন বোলারদের উপর চড়াও হবেন তখনই রানআউটের শিকার হন। বাঁহাতি ওপেনার ১০৮ বলে খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। মারেন ১১টি চার। মুশফিকুর রহিমকে (৩৪) ফিরিয়ে দ্বিতীয় শিকারের দেখা পান স্যান্টনার। তাতে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ৫১ রানের জুটি।

মিঠুনের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটিও জমে ওঠে। পঞ্চম উইকেটে আসে ৪১ বলে ৬৩ রান। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন দুজন। ২৪৭ রানের মাথায় কাইল জেমিসনের বলে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ (১৬)।

শেখ মেহেদী হাসান ৫ বলে ৭ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন। হাসান মাহমুদের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ বলে ৭ রান করে থাকেন অপরাজিত।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *