সোহেল আহমদ ::
কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অংশ হিসেবে সিলেটেও হরতাল পালন করছে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম । সকালে সিলেটের বিভিন্নস্থানে হেফাজতের নেতাকর্মীরা পিকেটিং করে। সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় মিছিলও বের করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
এদিকে নগরীর সিলেটে হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগসহ সেচ্ছাসেবকলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। রোববার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর বন্দরবাজারস্থ কামরান চত্বরে এ সমাবেশ করে তারা।
ছবি : সোহেল আহমদ
অন্যদিকে জানাযায়, হেফাজতের কিছু নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া করে। এসময় হেফাজত ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। করীমউল্লাহ মার্কেটের সামন থেকে কামরান চত্তর পর্যন্ত দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হেফাজতের কর্মী মনে করে ব্যবসায়ী কয়েকজনকে ধাওয়া করে পরে হেফাজত নেতাকর্মী এবং ব্যবসায়ী শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে কামরান চত্বরের দিকে নিয়ে যান।
ছবি : সোহেল আহমদ
পরে ছাত্রলীগ নেতারা আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে হেফাজত নেতাকর্মী এবং ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ মিছিল সহকারে মহাজনপট্টি এলাকা পর্যন্ত ধাওয়া হয়। এবং অন্তত: ১৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
এদিকে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ, মহনগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষারসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে হেফাজত কর্মী ও ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৫ জন ব্যবসায়ী ও পথচারী আহত হন।
এঘটনায় এক শিশুসহ প্রায় ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪জন ছাত্রলীগ কর্মী এবং পুলিশ আটক করেছে ৪জনকে। এ ঘটনার পরে নগরীর সিলেটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।