আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য বৈঠকে বসেছিলেন গ্রিস ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী । সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে শুরুটা ঠিক ছিল। মনে হয়েছিল দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীই সৌহার্দ্যের বাতাবরণ বজায় রাখবেন। কিন্তু হলো তার উল্টো, সাংবাদিক সম্মেলনে একে অপরকে দুষলেন গ্রিস ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে এর প্রথম গোলমালটা শুরু হয় গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ডেন্ডিয়াসের অভিযোগের পর থেকেই। তিনি অভিযোগ করেন, তুরস্কের বিমান অনেকবার গ্রিসের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। ভবিষ্যতে এভাবে তুরস্ক যেন ভুয়া নিউজ না ছড়ায়। গ্রিসের সার্বভৌমত্বে আঘাত করার চেষ্টা হলে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি।

এর জবাবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত বলেন, গ্রিসের এই অভিযোগ মানা যায় না। তারা বৈঠকে নিজেদের ঘরোয়া বিষয় তুলছে। গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা কমানো ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্য আর পূরণ হল না।

তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে বিরোধ ছিল দীর্ঘদিন থেকে ।এর মূলত কারণ ছিল সমুদ্র থেকে তেল ও গ্যাস তোলা এবং সাইপ্রাস হল বিরোধ নিয়ে। তবে কিছুদিন আগে গ্রিস তেল ও গ্যাস তোলার চেষ্টা করলে তুরস্কও তাদের গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়ে দেয়। তখন উত্তেজনা বাড়ে।

ইইউ গ্রিসকেই সমর্থন করেছে। তারা তুরস্ককে গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ ফিরিয়ে নিতে বলে। তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়েও কথা হয়। গ্রিসের সমর্থনে কয়েকটি দেশ জাহাজও পাঠায়। এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক তাদের তেল অনুসন্ধানকারী জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে। ইইউ ও তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব স্থগিত রেখেছে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *