প্রকাশিত: ৫:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২১
বিনোদন ডেস্ক::মন খারাপের সময়গুলোর ভালো সঙ্গী হতে পারেন চার্লি চ্যাপলিন এমনটা সবাই মানবেন। পরনে জরাজীর্ণ কোট-টাই, ঢিলেঢালা মলিন প্যান্ট, মাথায় কালো ডার্বি হ্যাট, হাতে একটি লাঠি, পায়ে পুরোনো এক জোড়া বুট এবং ঠোঁটের উপর খাটো অথচ লম্বা একটুখানি টুথব্রাশ গোঁফের মানুষটাকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।
১৯ শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি এই কথা নিঃসন্দেহে সবাই মানবে। নিজের মনের মধ্যে কষ্ট নিয়ে দর্শকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে আসছেন চার্লি চ্যাপলিন যুগ যুগ ধরে। বিশ্বের সেরা কৌতুক অভিনেতাদের মধ্যে হয়তো তার নাম আসবে সবার আগে। চ্যাপলিন তার ট্র্যাম্প বা ভবঘুরে চরিত্র নিয়ে প্রথম স্ক্রিনে আবির্ভূত হন ১৯২১ সালে, ‘দ্য কিড’ ছবিতে। হাসিঠাট্টা আর বিষণ্ণতা, ভাঁড়ামো আর হতাশা মিলে এক অদ্ভুত হাস্যরস সৃষ্টি করেছেন তিনি এই চরিত্রটির মাধ্যমে।
চার্লি চ্যাপলিনের মা নিজেও থিয়েটারে কাজ করতেন। সেই ঘটনাটি চ্যাপলিনের পাঁচ বছর বয়সের। একদিন তার মা মঞ্চে গান গাইছিলেন।
আর ছোট্ট চ্যাপলিন সেখানেই বসে মায়ের অভিনীত গীতনাট্য অবাক চোখে দেখেন। সেই সময় লন্ডনের খেটে খাওয়া শ্রমিক, ভবঘুরে কিংবা নেশাতুর লোকেরাই বিনোদনের জন্য থিয়েটারে যেত আর তা দেখতো। মঞ্চে গান গাইছিলেন চ্যাপলিনের মা হানা চ্যাপলিন।
চ্যাপলিনের মায়ের গলায় আগে থেকেই কিছু সমস্যা চলছিল। এক পর্যায়ে গান গাইতে গাইতে চ্যাপলিনের মায়ের গলার স্বর হঠাৎ করেই ভেঙে যায়। দর্শকদের চিৎকার আর ধমকানিতে বাধ্য হয়ে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান। কিন্তু মঞ্চ ভর্তি দর্শককে সামলাতে ও থামানোর জন্যে মায়ের জায়গায় চ্যাপলিনকে মঞ্চে ওঠানো হয়।
১৯৭৭ সালের ২৫ ডিসেম্বরে চার্লি প্রায় নিঃসঙ্গ অবস্থায় বিষন্নতায় ভুগতে ভুগতে মারা যান সুইজারল্যান্ডের কার্সিয়ারে। ১৯৭৭ সালের শুরু থেকেই চার্লি চ্যাপলিনের শরীরটা নাকি ভাল ছিল না। সুইজারল্যান্ডের ডিঙ্গিতে চার্লির শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এর পর ঘটে এমন একটা দুর্ঘটনা যা অবাক করবে আপনাদের। পরের বছর চার্লির মৃতদেহ চুরি হয়ে যায় কবর থেকেই। অবশ্য ১৬ দিন পরে তা উদ্ধার করে আবার সমাহিত করা হয় তাকে সেই স্থানে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech