যন্ত্রের যেমন নিয়মিত সাভির্সিংয়ের প্রয়োজন হয়, তেমনি মানুষেরও। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকতে হয়। শরীরের অন্যতম শত্রু টক্সিন। এটি এক ধরনের জৈব বিষ যা শরীর থেকে বের না হলে বিপদ।

মানবদেহে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয় টক্সিন। দূষিত পানি, অপরিস্কার, অপরিচ্ছন্নতা, দূষিত বায়ু থেকেও শরীরে ঢোকে টক্সিন। টক্সিন বের হতে না পারলে একের পর এক কোষের ক্ষতি করে।

শরীরে তৈরি হওয়া টক্সিন মল, মূত্র, ঘাম , নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হয়। উৎপন্ন টক্সিনের থেকে নির্গত টক্সিনের পরিমাণ কম হলে টক্সিন জমতে শুরু করে। টক্সিনের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে ক্লান্তি, চর্মরোগ, ওজন বেড়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

জমতে থাকা টক্সিনের জন্য অনিদ্রা, মুড সুয়িং , নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। দীর্ঘদিন টক্সিন জমে থকলে শরীরে একের পর এক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে।

অর্থাৎ এই টক্সিন শরীরে খুবই ক্ষতি করে। আর এই টক্সিন শরীর থেকে বের করাই হল শরীরের সার্ভেসিং কিন্তু এই সার্ভেসিং আপনি করবেন কীভাবে?

খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে ১ গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি খান। এতে বদহজম, অম্বল কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে। ঈষদুষ্ণ পানি খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃ্দ্ধি পায় ও ঘাম হয়। ঘামের মাধ্যমে শরীরের দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। ত্বকে জমে থাকা তেল ময়লা দূর হয়। নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণের পানি খান প্রতি নিয়ত। প্রসঙ্গত, ঈষদুষ্ণ পানি শরীরের ভিতর ঢুকলে কিছুক্ষণের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রায় চলে আসে। পানি খেল শিরা ধমনীতে রক্তচলাচলের গতি বৃদ্ধি পায়। তাই শরীরের সার্ভেসিংয়ের প্রথম ধাপে রয়েছে পানির উপকারিতা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *