প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::
কাজিরবাজারে মাছ ক্রয় এবং বাজার সমিতিকে প্রতি পাল্লায় ১০/- টাকা করে চাঁদা প্রদান
আজ (২জুন ২০২১) সকালে পারিবারিক প্রয়োজনে মাছ কেনার জন্য কাজিরবাজার গেলাম। সিলেটের সকলেরই জানা কাজিরবাজারে নানান জাতের ভাল মানের মাছ পাইকারি দরে খুব সহজেই কেনা যায়। কিন্তু মাছ কিনতে গিয়ে আজ এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নাইবা বললাম। নতুন অভিজ্ঞতাটি হলো এমন-
আমি আজ চার জাতের মাছ কিনলাম। প্রথমে ১২০/-টাকা দরে ২কেজি কৈ মাছ নিলাম। বিক্রেতা মেপে আমার ব্যাগে মাছ দিল। আমি পকেট থেকে একটি ৫০০/- টাকার নোট বের করে দিলাম। আমাকে ২৫০/- টাকা বিক্রেতার একজন ফেরত দিল। আমি বললাম- মাছের দামতো ১২০/- করে ২ কেজিতে ২৪০/- টাকা। আপনি ফেরত দিবেন ২৬০/- টাকা। আপনিতো আমাকে ২৫০/- টাকা দিলেন। আরো ১০/-টাকা দেন। তখন বিক্রেতা বলে- “১০/- টাকা পাল্লার দাম।” আমি বললাম-” পাল্লার দাম মানে?” বলে- “ঐ যে মাছ পাল্লায় মেপে দেয়া হলো সেটি?” আমি বললাম-” বলেন কি? মাছ বিক্রি করলেন আপনি, পাল্লা আপনার, মেপেও দিলেন আপনি- আমি পাল্লার দাম দেবো কেনো? তাছাড়া বিক্রেতাতো সবসময়ই পাল্লা (ডিজিটাল /সনাতন) দিয়ে মেপে মাছ বিক্রি করে- তাহলে পাল্লার মূল্য আমি দেবো কেনো? দাম দিতে হলে বিক্রেতা হিসেবে আপনি দিবেন।” বিক্রেতা বলে – “না, এটি আপনাকেই দিতে হবে। এটি বাজার সমিতি নির্ধারিত একটি চাঁদা; সবাইকেই দিতে হয়। আপনাকেও দিতে হবে। আপনি ১ কেজি নেন আর ২০ কেজি নেন- একবার পাল্লায় মাপলেই ১০/- টাকা দিতে হয়।” অনেক তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে আমাকে ১০/- টাকা পাল্লার দাম/চাঁদা হিসেবে দিতেই হলো। এরপর আমি আরো ৩ জনের কাছ থেকে ৩ জাতের কিনলাম এবং প্রতিবারই প্রত্যেক বিক্রেতাকে ১০/-টাকা করে পাল্লার চাঁদা দিতে হলো। সর্বসাকূল্যে ৪ জাতের মাছে ৪জন বিক্রেতা ১০/- হারে পাল্লার দাম বা চাঁদা হিসেবে মোট ৪০/- টাকা রাখলো।
আমার এই ৪০/- টাকা সত্যিই কি বাজার সমিতির কাছে পৌঁছাবে? নাকি অন্য কিছু। আমার মতো প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা কাজিরবাজারে মাছ কিনতে যান।
এখন প্রশ্ন হলো- এটি কেন? বাজার সমিতি এটি কেন করছেন? ধরে নিলাম বাজার উন্নয়নের কাজে ব্যবহারের জন্য যদি এটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে; তাহলে এটি ক্রেতা দিবেন কেন? দিতে হলে লভ্যাংশ থেকে বিক্রেতা দিবেন। নাকি বাজার সমিতির নাম করে বিক্রেতারা এমনটি করে ক্রেতাদের চোখে ধুলো দিচ্ছেন?
এর কি কোনো প্রশাসনিক অনুমোদন আছে? ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কি এমনটি করা যায়? কিংবা জেলা মার্কেটিং অফিসার বা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা কি এটি জানেন? আসলেই কি ক্রেতাকে এমন করে ১০/-টাকা দিতে হয় বা এরকম কোনো সিস্টেম আছে কিনা এরকম নানাবিধ প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে মাথায়।
ফেসবুক থেকে সংগৃহিত ::অসিত বরণ দাশগুপ্ত
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech