প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::
নাটোরের গুরুদাসপুরে পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামি আটক করা হয়েছে। চতুর্থ স্ত্রী রাখি বেগম (২৬) বেহিসাবি খরচ করায় কৌশলে পাটক্ষেতে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী।
রোববার বেলা ১১টার দিকে গুরুদাসপুর থানা চত্ত্বরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে রাখি বেগমকে হত্যার আসামি তার স্বামী মো. মিলন ইকবালকে উপস্থিত করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উপস্থাপন করে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১লা জুন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বিলব্যাসপুর পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় নিশ্চিত করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আক্তার জানান, পোশাক শ্রমিক ঘাতক স্বামী মিলন ইকবাল (৩৪) রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। রাখি বেগম তার চতুর্থ স্ত্রী। স্ত্রী বেহিসাবী জীবনযাপন করায় তাদের মধ্যে সাংসারিক বিবাদ চলে আসছিল। এ কারণে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় মিলন।
ঘটনার দিন মিলন কৌশলে স্ত্রীকে নিয়ে রাতে ঢাকা থেকে নাটোরের উদ্দেশে রওনা হয়। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুর অংশের ১০ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায় মাঝরাতে নামেন তারা। স্ত্রীকে আত্মীয়ের বাসায় নেওয়ার কথা বলে নির্জন পাটক্ষেতে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, লাশ শনাক্তের পর নিহত রাখি বেগমের ভাই মোরসালিন বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মিলনকে তার তৃতীয় স্ত্রীর বাড়ি গোদাগাড়ীর পাকড়ী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। মিলন তার চতুর্থ স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
এ/
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech