প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব পাস করা হয়। সেখানে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে মিয়ামারের অনেকেই রাস্তায় নেমে এসেছেন। তাদের দমনে ‘জান্তা সরকার’ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এতে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এর প্রতিবাদে মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বের ১১৯টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও বিপক্ষে ভোট দিয়েছে একমাত্র বেলারুশ। ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে ৩৬টি দেশ। এর মধ্যে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করা চীন ও রাশিয়া এবং প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশ রয়েছে।
প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়নি মিয়ানমারের প্রতিবেশী ভুটান, লাওস, নেপাল ও থাইল্যান্ডও। ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এমটিই জানায়।মিয়ানমার নিজেও প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেয়নিযা কিনা সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার।
খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে ‘পরিপূর্ণ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না থাকা’ রাশিয়া ও চীন। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক দেশগুলোর প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকার ঘটনায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারের নিন্দা জানানো হয়েছে প্রস্তাবটিতে। দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি-সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানানো হয় এতে।
জাতিসংঘের এই প্রস্তাব আইনত বাধ্য নয় মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে আগামীতে,বলছে বিবিসি।
প্রস্তাবের সায় না দেয়াকে মিয়ানমারের প্রতি নিজেদের মনোভাবের প্রতিফলন বলে জানিয়েছে ভারত। প্রস্তাবটি অতি-দ্রুততার সঙ্গে উত্থাপনের অভিযোগও তুলেছে ভারত।
ডিএস/এস.এ্ইচ.টি.
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech