প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আজ সারা দুনিয়া জর্জরিত। বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পুরোপুরি রুখতে টিকার কোন বিকল্প নেই। তবে, টিকা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে। টিকা নেবেন কি নেবেন না, এ নিয়ে অনেকে সংশয়ে আছেন। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, করোনার টিকায় তেমন কোনো ভয় নেই। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তেমন কিছু নেই। আর হলেও সেগুলো তীব্র নয়। টিকার তেমন কোনো বড় ধরনের ঝুঁকির কথা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি, কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়।
অনেকের করোনা সামান্য চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেলেও তার জের চলতে থাকে অনেক দিন ধরে। টিকা নিয়ে এমন হাজারো কথার মাঝে স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনে প্রশ্ন আসে টিকা কিভাবে শরীরে কাজ করে? চলুন জেনে নেয়া যাক।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এইচআইভি কর্মসূচীর হেনরি এম জ্যাকসন ফাউন্ডেশন কার্যক্রম এবং করোনাভাইরাসের কয়েকটি টিকার পরীক্ষা করা ওয়াল্টার রিড ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ-এর নতুন সংক্রামক রোগ শাখার পরিচালক সন্ধ্যা ভাসান বলেছেন, “টিকা কাজ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে। টিকা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এমন কিছুর সংস্পর্শে এনে দেয় যা দেখতে যে রোগ-জীবাণু বা প্যাথোজেনকে আমরা প্রতিরোধ করতে চাই ঠিক সেরকম। সেই বিশেষ রোগ জীবাণু বা প্যাথোজেনকে লক্ষ্য করে শরীর এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং তার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সুনির্দিষ্ট এন্টিবডি তৈরি করে। পরে আপনি যখন আসল রোগ-জীবাণুর সংস্পর্শে আসেন তখন আপনার শরীরের স্মৃতি জেগে ওঠে এবং সেই রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার জন্যে আগে থেকেই সতর্ক থাকে।”
শেয়ার আমেরিকার এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়- বিভিন্ন রোগের জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের টিকা তৈরি করে থাকেন। কিছু রোগ যেমন হাম, জল বসন্ত ও ইয়োলো ফিভার ইত্যাদির জন্য তারা উক্ত রোগ-জীবাণু বা প্যাথোজেন তথা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য সংক্রামক জীবাণুর মধ্যে থেকে কোন দুর্বল (বা ক্ষয়প্রাপ্ত) জীবাণু ব্যবহার করেন। অন্যান্য টিকা যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধের ইঞ্জেকশন তৈরি করা হয় মৃত (নিষ্ক্রিয়) জীবাণু দিয়ে। বিগত কয়েক দশকে পোলিও টিকা তৈরিতে ক্ষয়প্রাপ্ত জীবাণু ব্যবহার থেকে সরে এসে নিষ্ক্রিয় জীবাণু ব্যবহারের প্রচলন ঘটেছে।
টিকা তৈরির অন্যান্য দু’টি সাধারণ পন্থা হলো রোগ প্রতিরোধে সাড়া জাগাতে জীবাণুর শরীরের টুকরো ব্যবহার অথবা উক্ত জীবাণু সৃষ্ট ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান টক্সিন ব্যবহার করা।
তবে, চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একটি কথা বারবার উল্লেখ করেন। সেটি হলো- ‘ভ্যাকসিনস ডোন্ট সেভ লাইভস। ভ্যাকসিনেশনস সেভ লাইভস’। অর্থাৎ টিকা জীবন বাঁচায় না, টিকাকরণ জীবন বাঁচায়। একথা সব রোগের ক্ষেত্রেই সত্য। করোনা পরিস্থিতিতে এই কথাটি মনে রাখলে বেঁচে যাবে বহু প্রাণ।
ডায়ালসিলেটএম/৭
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech