আন্তর্জাতিক ডেস্ক::কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে। তবে এই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কারা এই হামলা চালিয়েছে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘ভয়াবহ’ হামলা হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হ্যাপির আশঙ্কা প্রকাশের পরই এ হামলার খবর সামনে এলো। এদিকে বুধবারই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশনায় কাবুল বিমানবন্দরের আশেপাশে অবস্থানরত সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যনন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। সেখানে পাঁচ হাজার ৮০০ মার্কিন সেনাকে সহায়তা করছে এক হাজারের বেশি ব্রিটিশ সেনা। অন্যদিকে, বিমানে বন্দরে যাওয়ার পথেও মানুষ হামলার শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)। এদিকে, কাবুল থেকে কবে শেষ ব্রিটিশ বিমান ছেড়ে যাবে সে ব্যাপারে কিছু জানাননি হ্যাপি। তবে শেষ মার্কিন বিমান আফগানিস্তান ছাড়ার আগেই যুক্তরাজ্যসহ সব বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। অন্যদিকে, তালেবানদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ৩১ আগস্টের আগেই সব মার্কিন নাগরিক ও সেনা সদস্যদের কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জি-সেভেন নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস এ ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মার্কিনিদের সরিয়ে নিতে প্রতি ৩৯ মিনিট পর পর যাত্রী বোঝাই করে কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সামরিক বিমান ছেড়ে যাচ্ছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *