সিলেটে বিএনপি পরিবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে

প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২১

সিলেটে বিএনপি পরিবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়নের কারণে সিলেটে বিএনপিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। সিলেটে বিএনপি পরিবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।  বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে অনিয়ম ও সংবিধান লঙ্ঘন করে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির কারণে দল থেকে অনেক ত্যাগী নেতা হারিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনের দুর্দিনে তাদেরকে দলে ফেরাতে বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নেতাকর্মীরা।

সোমবার সিলেটে এক জণাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দলের হাই কমান্ডের প্রতি এই আহবান জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আজকের রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। কিছু মানুষ দলের এমপি মন্ত্রী হওয়ার জন্য দলটিকে তার ব্যাক্তিগত জায়গীর হিসেবে ব্যবহার করছেন। বর্তমানে যেখানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন মূখ্য হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আমরা সেদিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছি। আজকে যুব ও তরুণ প্রজন্ম আদর্শহীনতার রাজনীতির কারণে রাজনীতিটাকে নীতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে।

রাজ্জাক আরও বলেন, যারা রক্ত ও ঘামের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবক দলকে বিএনপির ভ্যানগার্ড বানিয়েছে সম্প্রতি তাদেরকে সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ক্ষোভে অভিমানে সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের অনেক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

বিএনপির হাইকমান্ডকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দলটির আদর্শিক কর্মী যদি হারিয়ে যায় তাহলে শহীদ জিয়ার আদর্শ হারিয়ে যাবে। একই সাথে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির জন্য যে নেতৃত্বর প্রয়োজন তা আর খুজে পাওয়া যাবে না। আজকে বণিক শেণি ও নব্য সুবিধাভোগী চক্রের কাছে দল জিম্মি হয়ে পড়লে দল ও জাতির জন্য চরম দুর্ভাগ্যের বিষয় হয়ে দাড়াবে। শুধু সিলেট নয় সমগ্র দেশের ত্যাগাী ও পরিশ্রমী নেতাদের প্রতি নীতিনির্ধারকরা দৃষ্টি না ফেরান বাংলাদেশে গণতনন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে।

রাজ্জাক বলেন, আমি বিএনপির একজন প্রতিষ্ঠাতা। আমার দায়িত্ববোধ থেকে সিলেটের বিএনপির বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তুলে ধরলাম। যদি এর কোনো কার্যকরি সুরাহা না হয় তাহলে সিলেট বিএনপি যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা আর পূরণ করা যাপবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করে রাজ্জাক বলেন, চক্ষু বন্ধ করলেও প্রলয় রোধ করা যায় না। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা সেলিম আহমদ, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আহমেদুল হক চৌধুরী মিলু, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সুদ্বীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, মহানগর বিএনপির তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক ফয়েজ আহমদ দৌলত, সহ তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হাজী শওকত আলী, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান আহŸায়ক কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন লস্কর, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান আহŸায়ক কমিটির সদস্য ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মিনহাজ উদ্দিন মুসা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য ও সাবেক জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, জেলা বিএনপির সাংষ্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা জাসাসের আহŸায়ক জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আহমদ রানু, জেলা তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল হক, মহানগর বিএনপির সদস্য আব্দুল গফফার, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান মোহন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আজমল হোসেন রায়হান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক মওদুদুল হক মওদুদ, জেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মতিউল বারী খুর্শেদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল খান, মহানগর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমদ মাসুম, মহানগর বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, জেলা বিএনপির সহ স্বেচছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বেলাল, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষক সম্পাদক খালেদুর রশিদ ঝলক, মহানগর বিএনপির সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল ফরহাদ, জেলা বিএনপির বিএনপি সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিন,আবুল খায়ের দেওয়ান নিজাম খান, সিলেট জেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান এইচ খান, বিএনপি নেতা দুদু মিয়া, শামীম আহমদ প্রমুখ।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ