ডায়ালসিলেট ডেস্ক::সাভারের নয়ারহাট বাজারে একযোগে ১৮টি স্বর্ণের দোকানে পুলিশ পরিচয়ে গণডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ৩০ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাতে আশুলিয়া থানায় সকল ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করেন শুভ জুয়োলার্স এর মালিক মনোরঞ্জন রাজবংশী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার মনোরঞ্জন রাজবংশী রাতে তার শুভ জুয়েলার্স দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। অন্যান্য জুয়েলার্সের মালিকরাও রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। প্রতি দিনের ন্যায় সিকিউরিটি গার্ডরা বাজার পাহারা দিচ্ছিলো। একপর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে বংশী নদী দিয়ে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি ডাকাত দল রাইফেল, রাম দা, হাইড্রোলিক কাটার, রেঞ্জ, লোহার রড নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতরা সিকিউরিটি গার্ডদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে একটি মুদি দোকানের মধ্যে ফেলে রাখে এবং পর্যায়ক্রমে ১৭টি স্বর্ণের দোকানে হানা দিয়ে ১২৬ ভরি স্বর্ণালংকার যার আনুমানিক মূল্য ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৯১২ ভরি রূপা যার আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ১২ হাজারসহ নগদ ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনার পর র‌্যাব, পুলিশ, পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।প্রতিটি সংস্থা ডাকাতদের গ্রেপ্তারে নিজেদের মতো করে কাজ করছেন এবং তারা আশা প্রকাশ করেছেন খুব দ্রুতই পরিকল্পিত এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার জানান, ডাকাতির ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এব্যাপারে ঘটনা উদঘাটন, মামলার জোরালো তদন্ত ও তাদের গ্রেপ্ততার করতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তার সবই দ্রুতই নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার গভীর রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট ১৭টি স্বর্ণের দোকানে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাতির ঘটনা শুনার পর পরই ঘটনাস্থল ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, র‌্যাব-৪, গোয়েন্দা পুলিশ ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *