স্পোর্টস ডেস্ক::হতভম্ব হওয়ার কিছু নেই। অন্যসব বিষয়ের মতো খেলাধুলার প্রতিও আমার যথেষ্ট ভালোবাসা রয়েছে, বিশেষ করে টেনিসে। গতকাল (শনিবার) মেয়েদের টেনিস ইউএস ওপেনের ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়েই টূর্নামেন্টের সমাপ্তি টানলো ব্রিটেনের এমা রাদুকানু।
দেড় বছর করোনা মহামারীর কারণে আর সবকিছুর মতো খেলাধুলাও বন্ধ ছিল। হঠাৎ রূপকথার মতো এবারের ইউএস ওপেনের রাণী হয়ে মুকুটটা নিজের করে নিলো এই ১৮ বছরের মেয়েটি। ফাইনালে কানাডার লেইলা ফার্নান্দেজকে ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলো।
রাদুকানু শুধু ইউএস ওপেনের ট্রফি জেতেনি, সে কোয়ালিফাইয়ার খেলে আসা প্রথম ট্রফিজয়ী। ব্রিটিশ নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে রাদুকানু নতুন করে সাড়া জাগাল ৪৪ বছর পর। ব্রিটিশ নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তার আগে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা (উইম্বলডন) জিতেছিলেন ভার্জিনিয়া ওয়েড, ১৯৭৭ সালে।
আরেকটি নতুন ঘটনা সেটা হলো ১৯৯৯ সালের পর এবার প্রথম ইউএস ওপেনে মেয়েদের শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল দুই টিনএজার টেনিস খেলোয়াড়। সেই ২২ বছর আগে এভাবেই ইউএস ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল সেরেনা উইলিয়ামস ও মার্টিনা হিঙ্গিস।
তখন জিতেছিলেন সেরেনা এবং তারা পরবর্তীতে টেনিসের বড় তারকা হয়েছিলেন। এ যুগে কোয়ালিফাইয়ার থেকে গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি জয়, বিশাল ব্যাপার। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে নেমেছে প্রথমবারের মতো, তা মোটেও বোঝা যায়নি রাদুকানুর খেলায়।
সে নাকি কোনো চাপই অনুভব করেনি। হতে পারে শুধু খেলাকে নিয়ে ভেবেছে, পুরো সময়টি ব্যয় করেছে কীভাবে ভালো খেলা যায়। বয়সটা এখন মাত্র ১৮। কোনো কিছু নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করিনি, যা হওয়ার হবে ভেবে। ভবিষ্যতে যদি সে এভাবে খেলতে পারে তবে জেতার ধরণটা একই রকম হবে।
ডায়ালসিলেটেএম/