ডায়ালসিলেট ডেস্ক::আদালতের আদেশ অমান্য করায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের বিরুদ্ধে রুল জারির লিখিত আদেশ দেন। অপর চারজন হলেন – ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকী ও প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার কুণ্ডু। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আইনজীবী জানান, হাইকোর্টে আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে যায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। গত ৪ঠা মে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। আদালতের আদেশের পরও মিজানুর রহমানকে স্বপদে বহাল করা হয়নি। উল্টো মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিটি করপোরেশন। এছাড়া বরখাস্ত থাকাদের মতই মিজানুর রহমানকে অর্ধেক আনুষঙ্গিক ভাতা দেওয়া হয়।এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। মামলার শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পদোন্নতি না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষকে পদোন্নতির জন্য তার করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন। তারা সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় মিজানুর রহমান সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মিজানুর রহমান। সেই রিটের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *