দিনে সবজি বিক্রি ও মুদি দোকানদার, রাতে ডাকাতি

প্রকাশিত: ২:১৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২১

দিনে সবজি বিক্রি ও মুদি দোকানদার, রাতে ডাকাতি

 

ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::  দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন,  গত সোমবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র‌্যাব-১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালায়। এসময় ডাকাতির উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে অবস্থান করা ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- হিটু মিয়া, ফরহাদ আলী, লিটন শেখ, রিপন মৃধা ওরফে জামাই রিপন, স্বপন মিয়া, জাকির ব্যাপারী, জলিল খান, শ্রী লক্ষণ চন্দ্র দাস, শ্রী অজিত চন্দ্র সূত্রধর ও ইখতিয়ার হোসেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি শটগান ও একটি পাইপগান, দুইটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও নগদ ৩১ হাজার টাকা এবং দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

 

আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা  দিনে সবজি বিক্রি, মুদি দোকানি ও শ্রমিকের কাজ করলেও রাতে তারা হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর ডাকাত। চক্রের সদস্যরা দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় বসবাস করে। ডাকাতির পূর্বে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে এক হতো। ছদ্মবেশে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান, শিল্প-কারখানার বাইরে অবস্থান করে ২-৩ জন ভেতরে প্রবেশ করে এবং মূল দলটি মাইক্রোবাসসহ সুবিধাজনক স্থানে অপেক্ষা করতো। এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ১১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।

 

তিনি বলেন, চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল ও সাভার থানা, ডিএমপি’র শাহআলী, মতিঝিল ও ডেমরা থানা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানা, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা, মানিকগঞ্জের ঘিওর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, এই ডাকাতদলের অন্যতম হোতা ফরহাদ। এ চক্রের মধ্যে কেউ সবজি বিক্রেতা, কেউ দোকানদার ছিল। মূলত তারা ডাকাতি করেই জীবিকা নির্বাহ করতো। আমরা যেসব দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছি সেগুলো তারা ঢাকা থেকেই সংগ্রহ করেছে। ফরহাদ ও হিটু মিয়ার কাছ থেকেই অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে। তারাই মূলত অস্ত্রের যোগানদাতা। ডাকাতির বাইরে নাশকতার কোনো পরিকল্পনা আমরা পাইনি। তাদের প্রধান পেশা ডাকাতি করা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ