ঘটনায় ‘ইন্ধনদাতা কারা, রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা নাকি অন্য কেউ’

প্রকাশিত: ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২২

ঘটনায় ‘ইন্ধনদাতা কারা, রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা নাকি  অন্য কেউ’

 

 

সোহেল আহমদ ::  সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে মশাল জ্বালিয়ে মিছিল করেছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা মিছিলে অংশ নেন।

 

এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে চেতনা একাত্তর হয়ে আবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে সমাপ্ত হয়।

 

এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন অব্যাহত রয়েছে। বুধবার থেকে শাবিপ্রবি’র ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করে । এসময় ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে ৪জন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ২ জন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকীদের অনেকেই তীব্র শীত কারণে ও অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বর্তমানে তাদের ৯ জনের শরীরে স্যালাইন পুশ করা হয়েছে।

 

আর আগে গত বুধবার ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে অনশন চলাকালে একজনের বাবা হার্ট অ্যাটাক করলে ঐসময় একজন অনশন থেকে উঠে বাড়িতে যান।

 

 

 

উল্লেখ্য, মূল সূত্রটি সৃষ্টি হয় গত বৃহস্পতিবার রাতে শাবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের অসদাচরণের প্রতিবাদে ওই হলের ছাত্রীদের মাধ্যমে আন্দোলন। ঐ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতার্কিত হামলা চালায়। এরপর থেকেই শাবিতে আন্দোলনের মাত্রা গড়ায় এবং উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের অপসারণ, ও ছাত্রলীগরা যে হামলা চালায় তার বিচারের জন্য মাঠে নামে তারা। এরপর অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে মুক্ত করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঐদিনই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুুলিশের সাথে বাধে সংঘর্ষ।

 

 

এসময় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা আবার জড়ো হতে থাকলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট গুলি বর্ষণ করে । এতে শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

 

তবে এ ঘটনায় মূল ‘ইন্ধন দাতা কারা বা রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায় ঘটলো নাকি অন্য কেউ’ সেটা দেখার বিষয়। তকে প্রথমবারের মত সিলেটে যে নজিরবিহীন নেক্কারজনক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা সিলেটের মাটিতে কালি আর মুছবে না। নীরিহ শিক্ষার্থীদের উপর প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত যে হামলা হয়েছে তা সত্যিই নিন্দনীয়।

 

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসিকে প্রত্যাহার করা না হলে আমরণ অনশন অব্যাহত যাবে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ