বান্দরবন পাহাড়ে গোলাগুলিতে ১ সেনাসদস্য ও ৩ সন্ত্রাসী নিহত

প্রকাশিত: ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২

বান্দরবন পাহাড়ে গোলাগুলিতে ১ সেনাসদস্য ও ৩ সন্ত্রাসী নিহত

 

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দলের সঙ্গে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময় ঘটনায়বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারসহ ৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

 

এ ঘটনায় একজন সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, জেএসএস সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য আসবে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিব এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বথিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।

 

এসময় বুধবার রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটে টহল দলটি ওই এলাকায় পৌঁছালে পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। জবাবে সেনা টহল দলের পাল্টা হামলায় এসময় সন্তু লারমার মদদপুষ্ট জেএসএস মূলদলের ৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং সৈনিক ফিরোজ নামে আরো একজন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। আহত সেনা সদস্যকে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

 

ওই অভিযানে সেনা টহল দল কর্তৃক সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি এসএমজি, ২৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩টি অ্যামোনিশন ম্যাগাজিন, ৩টি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজির নগদ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

 

বর্তমানে সেনা টহল দল ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি জারি রেখেছে এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

 

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির অনুচ্ছেদ ‘ঘ’ এর ধারা অনুযায়ী সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয়ার মাধ্যমে তৎকালীন শান্তিবাহিনীর সকল সদস্যের আত্মসমর্পণের শর্ত থাকলেও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস তা ভঙ্গ করে চুক্তি সম্পাদনের পরবর্তী সময় থেকেই সশস্ত্র সন্ত্রাসী লালন করে আসছে। যদিও প্রায়শঃ সন্তু লারমা ও তার দল সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিচুক্তির শর্ত ভঙ্গ ও বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ করে থাকে।

 

বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপর ৪টি আঞ্চলিক দল হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ের নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পাশাপাশি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, যা নিঃসন্দেহে দেশদ্রোহিতার শামিল।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ