ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে উৎকোচের বিনিময়ে বিয়ে, ওয়ালিমাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আলোকসজ্জায় হুকিং সিস্টেমে (মেইন লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ) বিদ্যুৎ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি রাজস্ব হারানোর সাথে অধিক চাপে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এমাজুদ্দীন সরদার পৌরশহরের একটি বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।জানা গেছে, বিয়ে, ওয়ালিমা কিংবা যেকোন জরুরি প্রয়োজনে অস্থায়ি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করতে হয়। অনুমতি সাপেক্ষে নির্ধারিত ফি জমা দিয়েই সংযোগ নিতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান রেজাউল করিম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের হুকিং সিস্টেমে অবৈধ সংযোগ দেন। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি অধিক চাপে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছে। গত দুইদিন ধরে পৌরশহরের সিও অফিস এলাকায় বিদ্যুতের একটি খুঁটির পৌরসভার সড়ক বাতির সুইচে হুকিং করে এক বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিজিএম এমাজুদ্দিন সরদার শুক্রবার রাত দশটার দিকে ওই বিয়ে বাড়ির হুকিং সংযোগ তদন্ত করতে লাইনম্যান রেজাউলকে পাঠান। কিন্তু সে তড়িগড়ি করে হুকিংসহ আলোকসজ্জার অবৈধ সংযোগের লাইন সরিয়ে নেয়। সূত্র জানায়, ওই বিয়ে বাড়িতে লাইনম্যান রেজাউল করিম আর্থিক সুবিধা নিয়ে অবৈধ সংযোগ দিয়েছিল। ধরা পড়ায় বিষয়টি ধাপাচাপার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

হুকিং সংযোগে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে লাইনম্যান রেজাউল করিম জানান, ডিজিএম স্যারের নির্দেশ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বিয়ে বাড়ির পুরো আলোকসজ্জায় নয়, বিয়ের গেটে মাত্র একটি বাতি জ্বালানোর জন্য তারা হুকিং করেছিল। তিনি তা খুলে ফেলেছেন। কোন ধরণের অবৈধ সংযোগ প্রদানে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এমাজুদ্দীন সরদার জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে তিনি শুক্রবার রাতে এক বিয়ে বাড়ির অবৈধ হুকিং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। এব্যাপারে বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। তদন্তে লাইনম্যানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *