সিলেটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছে। আজ শনিবার সিলেট নগর, সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ও সিলেট জকিগঞ্জ সড়কে পৃথক এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সোহেল মিয়া (৩০), রুহেল মিয়া (১৫), শারমিন রিমা (২৪) ও নূরজাহান বেগম বেবী (৫৫)। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে।
জেলার জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, সন্ধ্যায় উপজেলার মোকামবাড়ী নামক স্থানে পিকআপ, ব্যাটারিচালিত টমটম ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল মিয়াকে (৩০) মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর আহত দুইজনকে সিলেটে পাঠানো হয়। পরে, ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ছেলে রুহেল মিয়াকে (১৫) মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, হতাহতদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়। তারা জাফলং এলাকায় ব্যবসা করতেন। গুরুতর আহত একজন চিকিৎসাধীন আছেন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশররফ হোসেন জানান, বেলা দেড়টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে দুর্ঘটনায় উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের উত্তর জামুরাইল গ্রামের প্রবাসী আব্দুল হামিদের স্ত্রী শারমিন রিমা (২৪) মারা যান। চলন্ত গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রিমা এক সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।
এর আগে, ভোরে নগরের আম্বরখানা পয়েন্টে দ্রুতগতির ট্রাকের ধাক্কায় নুরজাহান বেগম বেবী (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি সিলেটের গোয়াইপাড়া এলাকার মল্লিকা-৪৯/৭-এর মৃত ফারুক মিয়ার স্ত্রী।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, নুরজাহান বেগম বেবী আম্বরখানা জামে মসজিদের সামনে দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৫৬৮৭) তাকে ধাক্কা দেয়। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ট্রাকচালক সারজাহান মিয়াকে (২৮) আটক ও ট্রাকটি জব্দ করেছে পুলিশ।
নুরজাহান বেগমের মেয়ে মোছা. রোজিয়া আক্তার বাদি হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় সারজাহান মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *