মনজু চৌধুরী॥ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে শহর এবং শহরের আশপাশের শিশু ভিক্ষুকদের ভিক্ষুক মুক্ত করার লক্ষ্যে কলেজ পড়ুয়া একদল শিক্ষার্থীদের উদ্দোগে শিশু শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পযন্ত আনন্দ পাঠশালা নামক স্কুলে ক্লাস চলছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমানের সহযোগিতায় ১২০ জন শিক্ষার্থীদের বই উপহার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান পক্ষ থেকে রেগুলার ক্লাসের জন্য স্কুল ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এবিষয়ে চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, মৌলভীবাজারে এই পথ শিশুদের শহরের বিভিন্ন স্পটে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। তাদেরকে ভিক্ষা ভিত্তি থেকে ফিরিয়ে আনার জন্যই আনন্দ পাঠশালা নামক এই ভাসমান স্কুলে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে অনন্ত পক্ষে পাটশালা ও ধর্ম শিক্ষাটা অন্তত তাদের দেওয়া যেতে পারে কিনা।
মৌলভীবাজার শহরের এমবি, বিলাস, রাজমহল, স্বাদ, বেঙ্গল চৌমুহনা, কুসুমবাগ সহ আরো অনেক যায়গায় তাদের দেখা যায়। এদেরকে এই ভিক্ষা ভিত্তি থেকে ফিরিয়ে আনার জন্যই আনন্দ স্কুল নামে একটি পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কলেজ পড়ুয়া একদল ছেলে মেয়ে।
এবিষয়ে তিনি আরো জানান, ১২০ জন ছাএছাএী নিয়ে বিশাল এই সংখ্যা পরিচালনা করতে গিয়ে পাঠদানের স্থান এবং শিক্ষা সরঞ্জাম, বিশেষ করে কাপড় নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে এই নিঃস্বার্থ, অবৈতনিক শিক্ষকদের।
শহর খোঁজতে গেলে আরো পথ শিশুর সংখ্যা বারবে অবশ্যই।সরকার ভিক্ষা ভিত্তি বন্ধের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে, এদেরকেও এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন এবং মৌলভীবাজারকে ভিক্ষুক মুক্ত শহর তৈরি করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নিবাহী অফিসার জনাবা সাবরিনা রহমান, চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, আনন্দ পাঠশালার শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী, সুশীল সমাজের নাগরিক বৃন্দা,সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
