লক্ষ্য ১৫৪ রান। টি-টোয়েন্টির আধুনিক ক্রিকেটে বড় লক্ষ্য নয় মোটেই।কিন্তু লখনৌ সুপার জায়ান্টস বোলারদের তোপ সামলে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারলো না পাঞ্জাব কিংস।
পুনেতে শুক্রবার রাতে পাঞ্জাবকে হেসেখেলেই হারিয়েছে লোকেশ রাহুলের দল। ২০ রানের সহজ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে গেছে তারা।
পাঞ্জাবের ব্যাটারদের মধ্যে অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৭ বলে ২৫) আর জনি বেয়ারস্টো (২৮ বলে ৩২) ছাড়া বলার মতো কেউ কিছু করতে পারেননি।
৯২ রানের মধ্যে ইনিংসের অর্ধেকটা খুইয়ে ফেলা দলটি ১৮ ওভারে ১১৭ রানে ৮ উইকেট হারালে আর ম্যাচে উত্তেজনা তৈরি হয়নি।
লখনৌ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মহসিন খান। ২৪ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন এই পেসার। এছাড়া মিতব্যয়ী বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলেন দুশমন্ত চামিরা আর ক্রুনাল পান্ডিয়া। চামিরা ৪ ওভারে ১৭ রানে এবং পান্ডিয়া সমান ওভারে ১১ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে লখনৌর কুইন্টন ডি কক আর দীপক হুদা ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নিতে থাকে পাঞ্জাব কিংস। তবে ধুঁকতে ধুঁকতে ঠিকই লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় লোকেশ রাহুলের দল।
শেষের দিকে জেসন হোল্ডারের ৮ বলে ১১, দুশমন্ত চামিরার ১০ বলে ১৭ আর মহসিন খানের ৬ বলে অপরাজিত ১৩ রানের ছোট ইনিংসগুলোই বড় কাজ করে দিয়েছে লখনৌর। ৮ উইকেটে ১৫৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দলটি।
পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে হারায় লখনৌ। ১১ বলে মাত্র ৬ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রাহুল।

তবে শুরুর সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামলে নিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। দীপক হুদাকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তিনি।
কিন্তু ডি কক (৩৭ বলে ৪৬) সন্দ্বীপ শর্মার বলে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হলে আবারও তালগোল পাকিয়ে ফেলে লখনৌ। পরের ওভারে রানআউটের ফাঁদে পড়েন হুদা (২৮ বলে ৩৪)।
এরপর ক্রুনাল পান্ডিয়া (৭), মার্কাস স্টয়নিস (১), আয়ুস বাদোনিরা (৪) উইকেটে এসেছেন আর ফিরে গেছেন। এক ঝটকায় ১ উইকেটে ৯৮ থেকে ৬ উইকেটে ১১১ রানে পরিণত হয় লখনৌ। ১৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে শেষের ব্যাটারদের টুকটাক অবদানে ১৫৩ রানের পুঁজি লখনৌর।
পাঞ্জাব কিংসের পেসার কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে ৩৮ রান দিলেও তুলে নেন ৪টি উইকেট। ২ উইকেট শিকার রাহুল চাহারের।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *