মনজু চৌধুরী॥  বড়লেখায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান (২৪) ও তার বাবার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কেছরিগুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত কামরুলের বাবা রুহুল আমিনকে (৪৫) সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত কামরুল হাসান বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় পরদিন বুধবার ৪ মে রাতে ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান বড়লেখা সদর ইউপির কেছরিগুল এলাকার ফয়জুল ইসলাম, ফয়ছল আহমদ ও বাবুলের আহমদসহ সাতজনের নামোল্লেখ ও ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বড়লেখা থানায় মামলা করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ৩ মে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেছরিগুল জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান ও তার বাবা রুহুল আমিন বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় আগে থেকে কেছরিগুল এলাকায় ওত পেতে থাকা ফয়জুল ইসলাম, ফয়ছল আহমদ ও বাবুলের আহমদ গংরা তাদের পথরোধ করেন। পরে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে দা ও লাঠি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এসময় হামলাকারিরা তাদের ব্যাপক মারধর করেন। এতে তাদের শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম হয়। পরে স্থানীয়রা ও খবর পেয়ে পুলিশ হামলকারিদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কামরুলের বাবা রুহুল আমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান ৬ মে শুক্রবার বিকেলে বলেন, আসামিরা আমাকে ও আমার বাবাকে ব্যাপক মারধর করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা এগিয়ে না এলে তারা আমাদের মেরেই ফেলত। হামলায় আমার বাবা বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার অবস্থা গুরুতর। তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমারও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বড়লেখা থানার এসআই স্বপন কুমার বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান ও তার বাবা আহত হয়েছেন। থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *