ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয় অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় ১৬ মার্চ ২০২২। অনুষ্ঠানে অনেক গণ্যমান্য কবিরা উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, জাহিদুল হক কবি শাহীন রেজা কবি ও সম্পাদক জাকির আবু জাফর বিশিষ্ট ছড়াকার আতিক হেলাল কবি মুসলে উদ্দিন প্রমুখ।

বইটির দ্বিতীয় উন্মোচন হয় ২৪ মার্চ সিলেটের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিশিষ্ট কবি লেখক ছড়াকার এবং আত্মীয় স্বজনরা।

রাহনামা শাব্বীর চৌধুরী এ সময়ের জনপ্রিয় এক লেখিকার নাম। একের পর এক গল্প, উপন্যাস ও কবিতা নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি জায়গা করে নিতে যাচ্ছেন অগণিত পাঠকের হৃদয়ে ।দেশের গণ্ডি পেরিয়েও জনপ্রিয়তা রয়েছে এই স্বপ্নবাজ নারীর। তার লেখার মধ্যে ভালোবাসা, দেশপ্রেম, শিশুতোষ, মানবপ্রেম, আবেগ, অনুভূতি ও বিরহ জড়ানো থাকে সবসময়। সেই ছোট থেকে হাটি হাটি পা পা করে নিজ লেখনী দিয়ে জয় করেছেন দেশ ও দেশের বাইরের মানুষের ভালোবাসা। দাপিয়ে লিখছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা এবং বিদেশের প্রথম সারির পত্রিকায়গুলোতে। নিজের মনের মধ্যে লালিত স্বপ্ন নিয়ে তার বসবাস।

রাহনামা শাব্বীর চৌধুরী (মনি) একজন কবি, লেখক ও বিশিষ্ট সসমাজসেবী। সাহিত্যের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তার সরব পদচারণ। জীবন ও বাস্তবতার নানা প্রসঙ্গ তার সাহিত্য মনোনশীল চিন্তাভাবনা করেছে প্রগতিশীল ও প্রগাঢ়। নৈতিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক উচ্চারণ তার কবিতার প্রধান অনুষঙ্গ। তিনি সিলেট শহরে ১০ জানুয়ারি একটি সসম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পীরের বাড়ি গ্রামে। তার বাবা মৃত সৈয়দ তরব আলম। তিনি ছিলেন একজন জমিদার। মা ছিলেন হাবীব রহশন হাফসা চৌধুরী কবি রাহনামা চৌধুরী মনি শিক্ষা জীবনে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। তার স্বামী ছিলেন মৃত শাব্বীর আহমদ চৌধুরী। তিনি বিবাহিত জীবনে চার (৪) জনক জননীর মা। একথায় বলতে গেলে তিনি একজন সফল মা। বড় মেয়ে তাবিন্দা শাব্বীর চৌধুরী, ছোট মেয়ে ছামান্তা শাব্বীর চৌধুরী, বড় ছেলে সাইরাস শাব্বীর চৌধুরী, ছোট ছেলে নিবরাস শাব্বীর চৌধুরী। তারা সবাই দেশ জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরীর উপশহরের ২১৬ নং বাসা ৭ নং রোডে বসবাস করে আসছেন। তিনি আরও জানান তার আরও দুইটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হবার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি খুব আশাবাদী এই কাব্যগুলো পাঠক সমাজে খুব সহজেই গ্রহন করবে। সব চেয়ে বড় কথা হল তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের পচ্চদ ও কাভার ছবি গুলো কবি নিজেই একছেন। তিনি আর ও বলেন, বই হচ্ছে আমার সন্তানের মত। বই প্রকাশনা মানেই প্রতিটি মানুষের কাছে তার জীবনের একটি বিশেষ দিন। অসংখ্য ভক্ত পাঠকদের ভালোবাসায় শিক্ত হয়েছি। আগামীতেও তাদের আরও ভালো বই উপহার দিব, এটাই স্বপ্ন এবং তাদের এই ভালোবাসা প্রতিদান। সবাই যেন এভাবে দোয়া,আশীর্বাদে রাখেন সব সময় এই চাওয়া।উল্লেখ্য যে একটি সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ও অভিজাত পরিবারে জন্ম। তাই লেখালেখি তার রক্তে, মুক্তিযুদ্ধ তার চেতনায়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *