শাবি প্রতিনিধি :: গোসল করাকে কেন্দ্র করা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ও হলের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ৪০৯ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে গোসল করার জন্য ওয়াশরুম ব্যবহার নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী শিমুল মিয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের কর্মী মুসলিম ভূঁইয়ার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শিমুল মিয়া পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের (২০২০-২১ সেশন) শিক্ষার্থী এবং শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী। আর মুসলিম ভূঁইয়া বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ গ্রুপের অনুসারী।
দুপুরে এ ব্লকের ওয়াশরুমে গোসল করছিলেন মুসলিম ভূঁইয়া। তখন ওয়াশরুমের ভেতরে ‘কে আছিস’ বলে ডাক দেন শিমুল মিয়া। পরে ওয়াশরুম থেকে মুসলিম ভূঁইয়া বাইরে এলে শিমুলের সঙ্গে তার কথা হয়। তিনি শিমুলকে কক্ষে আসতে বলেন। শিমুল কক্ষে না গেলে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হয়।
এরপর ঘটানাটি সজিবুর রহমান ও মামুন শাহের পক্ষের মধ্যে জানাজানি হয়। পরে সন্ধ্যায় ঘটনাটি তাদের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ৪০৯ নম্বর রুমে বসলে তখন তাদের মধ্যে বাক্‌বিতণ্ডা হয়। পরে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ও টেবিল ফ্যান, রুমের তালা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুরের পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে লাঠি, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। শিমুল মিয়া সৈয়দ মুজতবা আলী হলে থাকবে। আর মুসলিম ভূঁইয়াকে বঙ্গবন্ধু হলে বা মেসে চলে যেতে বলেছি।’
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ বলেন, ‘ছোট একটা বিষয় একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা সমস্যাটির সমাধান করেছি।’
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো আবু সাঈদ আরেফিন খান বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে যে সমস্যাটি হয়েছে তা মীমাংসা করা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো সমস্যা না করতে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *