ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উপকূলীয় জেলার ৪১৯টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর। এক হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিত্রাং পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোলার উপর দিয়ে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। প্রথমে বরগুনার পাথরঘাটা, পটুয়াখালীর কলাপাড়া দিয়ে আঘাত হানার কথা থাকলেও দিক পরিবর্তন করে সেটি ভোলার উপর দিয়ে যায়। এতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল তেমনটা ঘটেনি।

এনামুর রহমান বলেন, সিত্রাংয়ের কারণে উপকূলের লোকজন যারা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা বাড়ি ফিরেছেন। এখন সবকিছু স্বাভাবিক।
এক প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি-ঘর নির্মাণের জন্য দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢেউটিন ও আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। একইভাবে যাদের মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে সরকার সহযোগিতা করবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ আসার পর খুব শিগগির আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক করে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানানো হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *