মনজু বিজয় চৌধুরী: মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিলে শীতকালীন অতিথি পাখি আগমন আসতে শুরু করেছে। পাখির কিচিরমিচির শব্দ, ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো ও বিলের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি এ যেন অন্যরকম সৌন্দর্যে সেজেছে। প্রতিবছর শিত মৌসুম আসলেই দেখা মেলে এই অতিথি পাখির।
এ সব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য পর্যটক। আগত এসব পাখির কলকাকলি আর কিচিরমিচির শব্দে হাওরে এক মধূময় আবহ বিরাজ করছে।
এ বছর বাইক্কা বিলে শীতের অতিথি পাখির আনাগুনা কমে গেলেও ,আবারও শীতের অতিথি পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে আশা করা হচ্ছে। পাখির কিচিরমিচির শব্দ, ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো ও বিলের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপিতে বাইক্কাবিল এখন অন্যরকম সৌন্দর্যে সেজেছে। আর এসব অতিথি পাখি ও বিলের সোন্দর্য্য অবলোপন করতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন শতশত দর্শনার্থী। শীত শেষে মার্চে যখন গ্রীষ্মের শুরু তখন এসব পাখি আবার ফিরে যাবে আপন নীড়ে।
২০০৩ সালে চাপড়া, মাগুড়া ও যাদুরিয়া বিলের ১০০ একর জলাভূমিতে বাইক্কা বিল নামে একটি স্থায়ী মাছের অভয়াশ্রম ঘোষনা করা হয়। বাইক্কাবিলে গত বছর ৪১ প্রজাতির শীতের পাখির দেখা মিলেছে।
বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমটির জীববৈচিত্র্য ফিরে পাওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শুরু থেকে সরকার বড়গাংগিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে বিলটি মাছের পাশাপাশি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে উঠে। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত অতিথি পাখি আর দেশীয় নানা জাতের ছোট বড় মাছ ও পাখির নিরাপদ আবাসস্থল এটি। সারা বছর জুড়ে ওখানে পাখি ও মাছের মিলন মেলা থাকলেও শীতকালে তা পায় ভিন্ন আমেজ। পাখিদের জলকেলি আর নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে এখানে রয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। শুক্র ও শনিবার এই দুদিন পর্যটক বেশি আসেন।
বাইক্কা বিলে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি দেখে আমি মুগ্ধ। বিলের ধারের সবুজ বাগান প্রকৃতি আনন্দ দেয়। কিছুটা বড় আকারের কয়েকটি পাখির দেখা পেলাম। পাখির কিচিরমিচির শব্দ, ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো ও বিলের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি দৃশ্য নজর কেরেছে। বাইক্কা ঘুরে মনোরন দৃশ্য দেখে তারা মধ্যে প্রশান্তি ফিরে পেয়েছেন। পাখি দেখতে পর্যটকদের জন্য এখানে তৈরী করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। গত বছর যে পরিমান পাখি ছিলো, এ বছর পাখি কম মিলেছে।
২৭ ডিসেম্বর এবং ৯ দিন পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য এ দর্শনীয় স্থানটি বন্ধ করা হয়। ৪ জানুয়ারী পর পর্যটকদের জন্য বাইক্কা বিল উম্মুক্ত করা হয়।
বাইক্কা বিল বড়গাংগিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিন্নত আলী জানান
বাইক্কাবিলে পাখি বছরে বছরে দেশীয় ও পরিযায়ী জলচর পাখি কম যাওয়ার কারণ মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। বাইক্কা বিলের অপার সৌন্দর্য, জলজ সম্পদ আর অতিথি পাখির জলকেলী, উড়াউড়ি ও কিচির-মিচিরে মুখরিত অপরুপ বাইক্কা বিলের সৌন্দর্য দেখতে এবার দর্শনার্থীদের উল্লেখযোগ্যহারে সমাগম ঘটবে বলে মনে করছেন তিনি। পাখির আনাগোনা কমতে থাকে। জানুয়ারী ও ও ফেব্রুয়ারী শুমারি শুরু হবে, বাইক্কাবিলে পাখির সংখ্যা বলা যেতে পারে। পুরো শীতটাই এখানে কাটিয়ে এক সময় নিজ নিজ গন্তব্যে পাড়ি জমাবে পাখিরা। এরা দল বেঁধে আসে আবার দল বেঁধেই চলে যায়।
