সতর্ক থাকবেন প্রতিদিন: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩

সতর্ক থাকবেন প্রতিদিন: ওবায়দুল কাদের

ডায়ালসিলেট ডেস্ক::আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেয়া হবে না এই বাংলার মাটিতে। তাদের সামপ্রদায়িক, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমুচিত জবাব দেয়া হবে। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাবছর, প্রতিদিনই কর্মসূচি থাকবে আওয়ামী লীগের। জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ ছাড়বেন না, শহর ছাড়বেন না, সতর্ক থাকবেন প্রতিদিন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নেই। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে, মাঠে আছি, থাকবো। আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি আছে। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করেআওয়ামী লীগে নিয়ম অনুযায়ী সব হয়। এরমধ্যে তিনটি জাতীয় সম্মেলন হয়ে গেছে সময়ের আগেই। ফখরুল সাহেব, কবে সেক্রেটারি হয়েছেন মনে আছে? বিএনপি’র কোনো সম্মেলন হয় না। তিনি বলেন, বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? তাদের ঘরেই তো গণতন্ত্রের চর্চা করে না। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে আনবে? তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। তারা নিজেরাই গণতন্ত্রের চর্চা করে না। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখানে শেখ হাসিনা কাউকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য করেননি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তারা সামপ্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, নষ্ট রাজনীতির ধারক ও বাহক। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে টিম গঠন করতে হবে। লোক নিয়োগ করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নবীন- প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি করতে হবে। কমিটিতে ত্যাগী, দুঃসময়ের কর্মী, সুখে-দুঃখে যারা থাকে তাদের কমিটিতে প্রাধান্য দিতে হবে। আত্মীয়স্বজন ও মুখ দেখে নেতা বানাবেন না। কর্ম দেখে নেতা বানাবেন। পদ না থাকলে কেউ সালামও দেবে না, মুখের দিকে চেয়ে নেতা বানাবেন না। পকেট বাণিজ্য করে স্বজনপ্রীতি করে কমিটি গঠন করা যাবে না। কমিটি গঠন করতে হবে নিবেদিতদের নিয়ে। আওয়ামী লীগ সরকার পঁচাত্তরের পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যাচার করে আবারো পঁচাত্তর ঘটানোর হুমকি দেয় বিএনপি। বিএনপি দেশের ঐতিহাসিক দিবসগুলো বিশ্বাস করে না। ২১ বছর ধরে এদেশের গণতন্ত্র ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শাসনামলে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। ২০০১ সালের সরকার গণতন্ত্রের নামে দেশটাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়েছিল।

নির্বাচনে যেখানে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে, সেখানে তাদের ভরাডুবি হয়। গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া, ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন আমরাও চাই। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ভোট চুরির জন্য এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানাননি। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে ইলেকশন কমিশন বানাননি। ইলেকশন কমিশন আইনের মাধ্যমেই গঠন করা হয়েছে। কতো ভয়ঙ্কর নোংরামির রাজনীতি হলে একটি দলকে মৃত বলে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। যারা জঙ্গিবাদের সমর্থন করে তারাই এসব গুজব ছড়ায়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক সহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়

ডায়ালসিলেট ্এম/

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ